প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড ও বিভেদ-বৈষম্যহীন সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
প্রধানমন্ত্রী আজ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে এক বাণীতে দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়ে এ আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, হযরত ইব্রাহীম (আ.) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
‘এই উৎসবের মধ্যদিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানেরা জবাইকৃত পশুর গোশত আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠা করেন।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার নির্ধারিত স্থানে ঈদ-উল-আযহার পশু কুরবানী দিয়ে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সকলে এগিয়ে আসবেন।
পবিত্র এই দিনে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত উন্নতি, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী রাব্বুল আলামিনের সহায়তা কামনা করেন।