নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে তোলপাড় চলছে।ঈদ উপলক্ষে লাখাই উপজেলার ৫ নম্বর করাব ইউনিয়নের ভিজিএফ কার্ডধারীদের জন্য সরকারের বরাদ্দ থেকে ১৪৩ মণ চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ভিজিএফ কার্ডধারী ১ হাজার ১৩২ জনের মধ্যে ৮০০ জনকে বরাদ্দের তিন কেজি করে কম চাল দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে ঈদ উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশের মতো ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা। কিন্তু লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নে কার্ডধারীদের ১০ কেজি চালের বদলে দেয়া হয় ৭ কেজি করে। আর এক হাজার ১৩২ জন কার্ডধারীর মধ্যে চাল দেয়া হয় ৮০০ জনকে।

এর মাধ্যমে ১৪৩ মণ চাল চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান বাজারদরে এসব চালের দাম পৌনে দুই লাখ টাকা।

স্থানীয় ভিজিএফ কার্ডধারী মরিয়ম চান বলেন, ‘আমি প্রত্যেকবারই কার্ডের মাধ্যমে চাল পেয়ে থাকি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে আমি কার্ড নিয়ে অফিসে গেলে বিকালে অফিসের লোকজন জানান চাল বিতরণ শেষ। আমাকে কেন চাল দেয়া হয়নি জানতে চাইলে তারা বলে চাল শেষ হয়ে গেছে। পরের বার আসলে আপনাকে দেয়া হবে।’

জমির আলী নামের আরেক বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমি অফিসে গেলেও আমাকে চাল দেয়া হয়নি। এমনকি চাল বিতরণের আগের দিনও আমার ওয়ার্ডের মেম্বার আমাকে অফিসে গিয়ে চাল আনার কথা জানায়। আমি তার কথামত সেখানে গেলেও আমাকে চাল দেয়া হয়নি। সারা দিন না খেয়ে ইউনিয়ন অফিসে বসে থেকে বিকেলে খালি হাতে ফিরে আসি।’

সূর্য বানু নামের এক মহিলা বলেন, ‘মেম্বারের কথামতো কার্ড নিয়ে অফিসে গিয়ে সারা দিন বসে থেকেও চাল পাইনি।  বলা হয়েছে চাল শেষ হয়ে গেছে। পরেরবার আমাকে বাড়িয়ে দেবে।’

একই রকম অভিযোগ করেছেন আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন কার্ডধারী।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাল বিতরণে অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা অভিযোগ করেছে আমার বিরুদ্ধে। তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও এ রকম একটি অভিযোগ করেছিল। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিয়েছেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তবে চাল আনার জন্য আমি আমার ইউনিয়নের সদস্য আলী আফছর, ভিংরাজ মিয়া ও মালেক মিয়াকে অনুমতি দিয়েছিলাম। তারাই লাখাই উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল নিয়ে আসেন। মেম্বাররা যদি কিছু করে থাকে সেটা আমার জানা নেই।’

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি সদস্য ১০ কেজি চালের স্থলে ৭ কেজি চাল দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।

আর ১ হাজার ১৩২ জনের স্থলে ৮০০ জনকে চাল দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং চেয়ারম্যান আব্দুল হাই কামালের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031