পুলিশ রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া আহত তিন নারী ‘জঙ্গির’ পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। শায়লা, শারমিন ও খাদিজাকে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে একজনের বুকে গুলি লেগেছে, অন্যদের শরীরের ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ তাদের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। এগুলো পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে।
পুলিশের ধারণা, আহতদের মধ্যে শায়লা আক্তার সাবেক সেনা কর্মকর্তা জঙ্গি জাহিদুল ওরফে মুরাদের স্ত্রী হতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত নয় পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে আজিমপুরের লালবাগ রোডের ২০৯/৫ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় জঙ্গি সন্দেহে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় এক নারী পুলিশকে লক্ষ্য করে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় একজন নারী ‘জঙ্গি’ হাতে ধারালো ছুরি ও পিস্তল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে গুলি করে আটক করতে সক্ষম হয়। জঙ্গিদের ছুরিকাঘাতে আহত হয় পাঁচ পুলিশ সদস্য। এ সময় পুলিশের গুলিতে সমশেদ হোসেন ওরফে আবদুল করিম নামের এক ‘জঙ্গি’ নিহত হন।
নিহত সমশেদ হোসেনের বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার মেহেরচী গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে তিনি। আজিমপুরের ওই বাসা থেকৈ দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে শিশু উদ্ধার করা হয়। তাদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এদিকে আজ রবিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নিহত সমশেদ হোসেনের লাশের সুরহতাল প্রতিবেদন কিংবা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আহত তিন নারী জঙ্গির পরিচয় জানতে কাজ করছে পুলিশ। তবে এখনো পর্যন্ত তাদের সঠিক পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
আহত তিন নারী জঙ্গির মধ্যে মেজর জাহিদের স্ত্রী রয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পুলিশ সন্দেহ করছে। তবে এখনো শতভাগ নিশ্চিত নয়।’