কোনো কোনো বাস ছাড়ছে নির্ধারিত সময়ের ২০ ঘণ্টা পরও। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের কারণে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তরাঞ্চলগামী বাসের সময়সূচি ভেঙে পড়েছে পুরোপুরি।
বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা একটু পর পর কাউন্টারে খোঁজ নিচ্ছেন। কিন্তু কয়জনকে আর আলাদাভাবে জবাব দেয়া যায়? অগত্যা মাইক লাগিয়ে শুরু হলো ঘোষণা। বলা হচ্ছে ‘বাস আসলে বাস যাবে, তার আগে কাউন্টার ত্যাগ নয়’, ‘মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন’।
তিন দিন ধরে টার্মিনালে এই পরিস্থিতি চলছে। তবে বাস ছাড়বে না জেনেও সময় মতই আসতে হচ্ছে যাত্রীদের। কাউন্টারে বসার জায়গা পাওয়া যাবে না- এটাও এরই মধ্যে জেনে গেছেন সবাই। তাই বসার জন্য মাদুর বা বিছানা সঙ্গে করেই নিয়ে আসছেন তারা।
যারা আগাম টিকিট কাটতে পারেননি, তারাই বরং খানিকটা স্বস্তিতে আছেন। লেকার বাস ও গাড়ি ভাড়া করে তারা যাচ্ছেন গন্তব্যে।
সুরভী পরিবহনের যাত্রী ইভা রবিশাল যাবেন। তার বাস ছাড়ার কথা ছিল শুক্রবার রাত ১১টায়। কিন্তু শনিবার সকাল ১০টাতেও সুরভী জানতে পারেননি বাস কখন আসবে। তিনি ও তার ছোট ভাই রাতভর নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বাস কাউন্টারের সামনে।
নাজমা বেগম কাজ করে শ্যামলী একটি পোশক কারখানায়, তিনি গোন্ডেল লাইন পরিবহনের টিকিট নিয়েছেন। তার বাসও ছাড়ার কথা ছিল শুক্রবার রাত ১১টায়। কিন্তু ১২ ঘণ্টা পরও তার বাস ছাড়েনি।
গোন্ডেল লাইন পরিবহনের ম্যানেজার সাইদ বলেন, ‘পদ্মার ভাঙনের কারণে অনেক ফেরি চলতে পারছে না। তাই অনেক গাড়ি রাস্তায় পড়ে আছে।’
সৌদিয়া গাড়ীর যাত্রী নিথার মানখিন বলেন, ‘আমি মিরপুরে থাকি। সে কারণে গাবতলী কাউন্টারে টিকিট নিয়েছি। গতকাল রাতে সাড়ে ১০টার গাড়ী আজ সকালেও আসে নাই। আমি টার্মিনালে পেপার বিছিয়ে রাত পার করেছি।’