হঠাৎ সাহায্যের হন্য হাত নাড়িয়েছিলেন কে, সেটা জানা গেলো না গাজীপুরের টঙ্গীতে টাম্পাকো ফয়ল্স কারখানার ছাদে।
ভোর ছয়টার কিছুক্ষণ আগে আগুন লাগা ভবনটির ছাদের পানির ট্যাংকের কাছ থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুটি হাত নাড়ার দৃশ্য দেখতে পায় ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আর যে হাত দেখা যায়নি।
ওই কারখানাতে বিস্ফোরণে আগুন ধরার আগ পর্যন্ত রাতের শিফটের কাজ চলছিল। রাতে কত জন শ্রমিক কাজ করছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য জানা যায়নি। এই দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয় ৩০ জনের কাছাকাছি।
এই ৫০ জনের তথ্য জানা গেলেও বাকিদের ভাগ্যে কী হয়েছে সেটা অজানাই রয়ে গেছে। এই অবস্থায় দুটি হাতের নাড়াচাড়া আরও কয়েকজনের জীবিত থাকার প্রমাণ হিসেবেই দেখছিলেন কারখানার সামনে অবস্থানকারীরা।
কিন্তু এরপর ছয় ঘণ্টা পরও সেই হাত নারানো এক বা একাধিক মানুষকে উদ্ধার করা যায়নি। জানা যায়নি তাদের পরিণতি কী হলো।
আর হাত নাড়ানোর দৃশ্য দেখার পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধারের বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করেছিলেন। তবে তখন আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় হাত দেখলেও তারা কিছুই করতে পারেনি।
কিন্তু সময় যত বাড়তে থাকে আশার আলো ধীরে ধীরে নিভতে শুরু করে।আগুন নেভাতে নেভাতে ধসে যায় পুরো ভবন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমে আসলেও ভবনের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে পুরো ভবন ধসে পড়ায় ভেতরে যারা ছিলেন তাদের কারোই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে ফায়ার সার্ভিস।
বিকাল চারটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। পানি সংকটের কারণে তাদের কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। আবার তাদের কিছু মেশিন মাঝে মাঝে বিকল হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো ভবনের ভেতরে উদ্ধার অভিযান শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।