হাইকোর্ট তামাকজাত পণ্যের সচিত্র সতর্কবার্তা আইনে প্যাকেটের উপরিভাগের ৫০ শতাংশে রাখার বিধান থাকলেও সেটা বাদ দিয়ে নিচের অংশে সতর্কবার্তা ছাপানোর সুযোগ দিয়ে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন । একইসঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কোঅর্ডিনেটরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকের্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি জেএন দেব চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক এবং তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মঞ্জুর আলম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান।
এসএম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদেরকে বলেন, আদালত ওই গণবিজ্ঞপ্তিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না -তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে। বেসরকারি সংস্থা উবিনিগ (প্রা.) লিমিটেড, গবেষণা সংস্থা প্রজ্ঞা এবং প্রত্যাশা’ মাদক বিরোধী সংগঠনের দায়ের করা এক রিটে এ আদেশ দেন আদালত। ২০১৩ সালের এপ্রিলে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, যে কয়েকটি কারণে প্রশংসিত হয়েছিল, তার একটি ছবিযুক্ত সতর্কবার্তা। তবে এই সতর্কবার্তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি ছেড়ে দেওয়া হয় বিধির উপর।
সংশোধিত ওই আইনে তামাকজাত দ্রব্যের পকেটে, মোড়ক, কার্টন বা কৌটার উভয় পাশে মূল প্রদর্শনী তলের উপরের অংশের অন্তত ৫০ ভাগ স্থানজুড়ে রঙিন ছবি ও লেখা সম্বলিত সতর্কবার্তা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। যে সব প্যাকেট চৌকোণা নয় সেগুলোর মূল প্রদর্শনী তলের উপরে ৫০ ভাগ স্থানে এই সতর্কবার্তা রাখতে বলা হয়।
প্রায় ২ বছর সময় নিয়ে ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা’ করে সরকার। তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা দিয়ে করা বিধিমালা মেনে চলতে বাধ্যবাধকতা আসতে ১২ মাস সময় পায় তামাক কোম্পানিগুলো। ছাড়ের এই সময়সীমা শেষ এ বছরের ১৮ মার্চ। এই বিধান কার্যকর হওয়ার কয়েকদিন পূর্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুলসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, কার্টন বা কৌটার উপরের অংশের শতকরা ৫০ ভাগ স্থানজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্ক বাণী রাখার বাধ্যবাধকতাকে শিথিল করা হয়। তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর মতে, নিচের ৫০ শতাংশে সচিত্র সতর্কবার্তা ছাপালে প্রদর্শনীর সময় তা ঢেকে যায়, যা এটার মূল উদ্দেশ্যকেই ব্যহত করে।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |