ফেরীতে সাধারণ যাত্রী বেশি পার হওয়ায় যানবাহন দ্রুত পার করা যাচ্ছে না। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে অপেক্ষমান গাড়ীর চাপ গতরাতের তুলনায় কিছুটা কমে এসেছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে পাটুরিয়ায় প্রায় দুই হাজার গাড়ী পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। যেখানে গতকাল রাতে ১০ কিমি পর্যন্ত কয়েক হাজার যানবাহনের দীর্ঘ লাইন ছিলো।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা ফেরি সেক্টরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (বাণিজ্য) শেখ মোহাম্মদ নাসিম জানান, ফেরি পারের অপেক্ষায় এক হাজারের মতো ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার আটকে রয়েছে। এছাড়া দূরপাল্লার প্রায় আড়াই শত বাসও ফেরি পারের জন্য অপেক্ষমান। ফেরি বহরের ১৪টি ফেরি এই রুটে চলাচল করছে বলেও তিনি জানান।
রো-রো ফেরি ‘ভাষা শহীদ বরকতের’ মাষ্টার সিদ্দিক হোসেন জানান, ঘাটে ফেরি ভেড়ার সাথে সাথে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে ফেরিতে উঠে পড়ছেন। কোনো কোনো ট্রিপে ২/৩টি যানবাহন নিতে পারছেন। বাকি স্থান যাত্রীতে ভরে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দৌলতদিয়ার ৩নং ফেরিঘাটটি পদ্মায় বিলীন হয়। চালু হয় রাত পৌনে ৮টার দিকে। ঘাটটি সারারাত চলার পর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আবারো ভেঙে যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পারে দৌলতদিয়ার সবকটি ঘাট সচল হয়েছে। এতে একযোগে হাজার হাজার যাত্রীবাহী বাস ও কোরবানির গরুবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন নদীর পাড়ের আশায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে আসতে শুরু করে।
এতে দৌলতদিয়া ঘাটে অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে শুক্রবার বিকালে যানজট কমে প্রায় ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত ২/৩ সারিতে বিস্তৃত ছিল।
বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে দৌলতদিয়ার ফেরি ঘাটগুলো একের পর এক নদীতে বিলীন হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ফেরি ঘাটগুলো মেরামত করা হলেও তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হচ্ছে না।