নিহত বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় একটি কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ আগুনে । এ ঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক শ্রমিক। শনিবার ভোর ৬টার দিকে ট্যাম্পাকো পুটিং লিমিটেড নামক কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। টঙ্গি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ১৭ জনের এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) চারজনের লাশ রাখা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৮ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ঢামেকে ওহেদুজ্জামান (৪০), অজ্ঞাত নারী (৩০), দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও আনোয়ার হোসেন (২৫)।
আর টঙ্গি ৫০ শয্যা হাসপাতালে সুলায়মান (৩০), ইদ্রিস (৪০), আবদুল হান্নান (৬৫), আল মামুন (৪০), শঙ্কর সরকার (২৫), জাহাঙ্গীর আলম (৫০), সুভাস চন্দ্র (৪০), রফিকুল ইসলাম (২৮), রেদোয়ান (৩৫), জয়নুল (৩৭), আনোয়ার (৪০), প্রকৌশলী আনিসুর রহমান (৪০), রাজেশ (২২) ও রাশেদের (২৮) লাশ রয়েছে। বাকি তিন লাশের পরিচয় জানা যায়নি। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান জানান, অগ্নিকাণ্ডে পাঁচতলা ভবন পুরোটা ধসে গেছে।
টঙ্গি সংবাদদাতা মৃনাল চৌধুরী সৈকত জানান, এখন পর্যন্ত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে শতাধিক, নিখোঁজ রয়েছে ৫ জন।
এদের মধ্যে ভবন থেকে ১৭টি লাশ উদ্ধার করে টঙ্গি ৫০ শয্যার হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আর আহত ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেয়া হলে সেখানে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে ঢামেকে ৩১ জন ও টঙ্গি ৫০ শয্যার হাসপাতালে ১২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
আখতারুজ্জামান আরও জানান, ঢাকা, সাভার, ইপিজেড, সদর দফতর, টঙ্গি, জয়দেবপুর, শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এরআগে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান জানান, বিসিক নগরীর ট্যাম্পাকো পুটিং লিমিটেড কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
এদিকে টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকা, ৫০ শয্যা হাসপাতালে হতাহতদের স্বজনেরা ভিড় করেছেন। তাদের আহাজারীতে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।