পবিত্র ঈদুল আজহা আর কিছুদিন পরেই। মুসলমানদের জেনে রাখা ভালো কোরবানির পশু জবাইয়ের নিয়ম-কানুন।চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কোরবানির পশু জাবাই সম্পর্কে নানান তথ্য।
১. বকরী, খাসী, পাঠা, ভেড়া, ভেড়ী ও দুম্বায় একজনের বেশি শরীক হয়ে কুরবানী করা যায় না। এগুলোর একেকটা কেবল একজনের নামেই কুরবানী হতে পারে।
২. একটি গরু, মহিষ ও উটে এক হতে সাত ব্যক্তি পর্যন্ত শরীক হতে পারে। পূর্ণ সাতজন হওয়া জরুরি নয়। দুই, তিন, চার, পাঁচ, কিংবা ছয়জনও হতে পারে। তবে টাকা প্রদান ও গোস্ত বণ্টনের বেলায় সবার সমান অংশিদারিত্ব থাকতে হবে। সামান্যতম কমবেশিও করা যাবে না।
৩. কুরবানীর সাথে শরীক হিসেবে আকীকার অংশও রাখা যায়।
৪. এমনিভাবে মৃত ব্যক্তির নামে, এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামেও অংশ নেয়া যায়।
৫. শরীকদের প্রত্যেকে খালেস আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরবানীর নিয়ত থাকতে হবে এবং প্রত্যেকেরই মাল হালাল হতে হবে। কেবলমাত্র একজনেরও যদি শুধু গোস্ত খাওয়ার নিয়ত থাকে বা হারাম মাল হয়, তাহলে অংশীদার সকলের কুরবানী অশুদ্ধ হয়ে যাবে।
৬. গরু কেনার সময় অন্যকে শরীক করার ইচ্ছা না থাকলে যদি ক্রেতা গরিব হয়, তাহলে কেনার পরে ঐ গরুতে আর কাউকে শরীক নিতে পারবে না। আর যদি ধনী হয়, তাহলে পারবে। তবে না নেয়াই উত্তম।
[আহসানুল ফাতাওয়া]