কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত এমন ৫৩ জন শিক্ষার্থীতে ২০ সেপ্টম্বর মধ্যে হাজির হয়ে অনুপস্থিতির বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ।
এটি একটি খসড়া তালিকা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, নিখোঁজ বা অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা পরে প্রকাশ করা হবে। এই তালিকায় ফোকলোর স্টাডিজের ছয় জন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১১ জন, ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৩ জন, মার্কেটিং বিভাগের পাঁচ জন এবং ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগের ১৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
তবে অর্থনীতি, ইংরেজি, বাংলা, লোক প্রশাসন, আইন ও মুসলিম বিধান, আল ফিকাহ, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধানরা ছুটিতে বা বিদেশে থাকায় এসব বিভাগের অনুপস্থিতির তালিকা পাওয়া যায়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জঙ্গি তৎপরতায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যায়। শুরুর দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নাম আসলেও পরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগও আসে। আর বেসরকারির পাশাপাশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরও নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা জানালেও তাদের নাম প্রকাশ করেনি। কারণ, এতে বিভ্রান্তির সুযোগ থাকে। কারণ, শিক্ষার্থীদের একাংশ পড়াশোনা শেষ না করেই যেমন বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন, তেমনি কেউ কেউ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দসই বিভাগে সুযোগ পেলে ভর্তি হয়ে যান। এ ক্ষেত্রে আগের বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানোর নিয়ম থাকলেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা এতে গুরুত্ব দেয় না।
তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থীর নিখোঁজ হয়ে জঙ্গি তৎপরতায় জড়ানোর নিশ্চিত তথ্যও আছে। আর্টিজান হামলায় অন্যতম পরিকল্পনাকারী মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি পড়াশোনা শেষ না করেই উগ্রবাদে জড়িয়েছেন।
এই অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব বিভাগ ও হল প্রভোস্টদের অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়। এ প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুপস্থিত ৫৩ জন শিক্ষার্থীর নামের খসড়া তালিকা করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন উর রাশিদ আসকারী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঈদুল আযহার ছুটি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর নিখোজ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা অনুপস্থিত থাকার যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে ব্যার্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকাটাইমস/৯সেপ্টেম্বর/ডব্লিউবি