নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ তৈরির জন্য মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি সেবার অপারেটর নিয়োগে নিলামে যোগ্য ৫ প্রতিষ্ঠানের নাম জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-রিভ নাম্বার লিমিটেড (সহযোগী প্রতিষ্ঠান পোল্যান্ডের টিফোরবি এসপি জেড ও ও), গ্রীনটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (সহযোগী প্রতিষ্ঠান লিথুনিয়ার মিডিয়া ফোন), ইনফোজিলিয়ন বিডি টেলিটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড (সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্লোভেনিয়ার টেলিটেক ডিওও), ব্রাজিল বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম (সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্রাজিলের ক্লিয়ার টেক), রুটস্ ইনফোটেক লিমিটেড (সহযোগী প্রতিষ্ঠান নরওয়ের সাইসটর গ্রুপ)। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এমএনপি সেবা শুরু করবে। আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। বিটিআরসি জানিয়েছে, নিলামে আগ্রহ প্রকাশ করে ১৮টি আবেদন সংগ্রহ করা হলেও ৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দিয়েছিল। তার মধ্যে থেকে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর লাইসেন্স হস্তান্তর করে এ বছর সেবা চালু করা যাবে। সেবায় সন্তুষ্ট না হলেও এখন অনেকে নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না বলে অপারেটর বদলান না। এমএনপি চালু হলে তারা নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। বহু প্রতীক্ষিত এই সুযোগ তৈরির জন্য গত ২রা ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের কাজ কারা পাবে, সেই প্রক্রিয়া ‘স্বচ্ছ’ করতে কয়েকটি মূল্যায়ন মানদণ্ড যুক্ত করে গত জানুয়ারিতে এমএনপি নীতিমালার সংশোধিত খসড়া চূড়ান্ত করে বিটিআরসি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পর মে মাসে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতে পারবে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগেই বিষয়টি অনুমোদন করেছে। একবার এমএনপি সুবিধা নেয়ার পর গ্রাহক আবার নতুন কোনো অপারেটরে যেতে চাইলে তাকে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি পরিষেবা চালু রয়েছে। নিলাম প্রক্রিয়ায় আবেদন ফি এক লাখ টাকা, বিড আর্নেস্ট মানি ১০ লাখ টাকা, নিলামের ভিত্তি মূল্য এক কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এছাড়া বার্ষিক লাইসেন্স ফি হিসেবে ২০ লাখ টাকা, রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ প্রথম বছর শূন্য শতাংশ এবং দ্বিতীয় বছর থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে এক কোটি টাকা দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে এই লাইসেন্স দেয়া হবে ১৫ বছরের জন্য। পরে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করা যাবে।
লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা
বাংলাদেশে বসবাসকারি যে কোনো ব্যক্তি বা প্রোপ্রাইটরশিপ বা পার্টনারশিপ কোম্পানি এবং আরজেএসসি’র অন্তর্ভুক্ত যে কোনো কোম্পানি। বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী বা প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারী যৌথভাবে এ লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবে। তবে এককভাবে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে না। বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী বা প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যৌথ আবেদনের ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীর মূলধনের অনুপাত ৫১ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। প্রবাসী বাংলাদেশি বা বিদেশি বিনিয়োগকারীকে তাদের মালিকানার অংশ সরাসরি বিদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারবে না। বাংলাদেশে সেলুলার মোবাইল ফোন লাইসেন্সধারী কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা তাদের মালিকানা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এমএনপি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে না। আবেদনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এ কাজে অন্তত তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ন্যূনতম এক কোটি গ্রাহককে সেবা দেয়ার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তাদের। কমিশনের লাইসেন্সধারী যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কমিশনের পাওনা বকেয়া রেখেছে, তারাও আবেদন করার যোগ্য হবে না।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |