সৌদি কৃর্তপক্ষ হজযাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও নির্বিঘ্ন করতে সেলফি তোলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ।
এবারের হজে নিয়োজিত কর্মী বাহিনী যে সমস্ত সমস্যা চিহ্নিত করেছেন, তার মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে ছবি তোলা। অনেক অংশগ্রহণকারীকে দেখা যায় কাবাঘর তাওয়াফের সময় দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন। অনেকে আবার ভিডিও করেন কিংবা ভিডিও কল করে বসেন। অনেক সময় দেখা যায় দল বেঁধে ছবি তুলতে যা অন্যদের ইবাদতে বিঘ্ন ঘটায়। হারাম শরিফে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা নিষিদ্ধ হলেও সম্প্রতি এটা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজিদের অনেকেই মনে করেন ছবি তোলা বা সেলফি তাওয়াফে বিগ্ন সৃষ্টি করে।
হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সৌদি সেনাবাহিনীর সদস্য ইব্রাহিম সোলায়মান আল মারশিদী বলেন, ‘স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য ছবি বা ভিডিও প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখা প্রয়োজন। আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো মুসলিম হজ পালন করতে এসেছেন। আপনি যখন কাবাঘর তাওয়াফের সময় কিংবা সাফা ও মারওয়ার মধ্যে চলাচলের সময় ছবি তোলার জন্য দাঁড়াবেন তখন মুসলিমদের এক বিরাটস্রোতকে বাধাগ্রস্থ করবেন। ফলে আপনার কারণে অসংখ্য হজ পালনকারীর পথে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও আপনার আশেপাশে অনেক অপরিচিত নারী-পুরুষ থাকে যাদের ছবি উঠানোর অধিকার আপনার নেই।
বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমকে হজযাত্রীদের সচেতনতা সৃষ্টিতে এ ধরণের ছবি তোলা থেকে বিরত থাকতে প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কোন ভাবেই সেলফি উন্মাদনা ঠেকানো যাচ্ছে না বলে দাবি সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর। স্মার্টফোন অনেক ক্ষেত্রে হজযাত্রীদের চলাচলে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তবে ছবি তোলা, ভিডিও ধারণ এবং বিশেষ করে সেলফি ফ্যাশনে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর। স্মরণকালের মধ্যে এবারই হজে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ভিডিও কল, সেলফি বা ছবি তোলার প্রবণতা ব্যাপক আকার নিয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ ও পথের খরচ নির্বাহে সামর্থ্যবান প্রত্যেক নর নারীর উপর হজ পালন বাধ্যতামূলক। বিজ্ঞানের উৎকর্ষে হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। তবে প্রযুক্তির যেমন সুবিধা আছে তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। কারণ হজে সেলফি এবং ভিডিও কলের কারণে একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটছে পুণ্যার্থীদের।