মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ অব্যাহতি দেয়া হয়। চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত মাহমুদা খানম মিতুর স্বামী আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৪তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে যোগদানকৃত মো. বাবুল আক্তার (বিপি-৭৫০৫১০৯০২৯), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সিএমপি, চট্টগ্রাম (বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এবং পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত) কে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চাকরি (পুলিশ ক্যাডার) হতে এতদ্বারা অব্যাহতি প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার ঘটনায় গত ২৪শে জুন পুলিশ সদর দপ্তরে বিশেষ পরিস্থিতিতে পদত্যাগপত্র জমা দেন বাবুল আক্তার। তবে সেসময় বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচিত হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। এরপর দীর্ঘ ছুটি শেষে বাবুল আক্তার পুলিশ সদর দপ্তরে এলেও চাকরিতে যোগ দিতে না পারায় বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। ৪ঠা আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে কাজে যোগদানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। যেখানে এসপি বাবুল আক্তার বলেন, দায়িত্বে পুনর্বহাল হতে চাই। এরপর তিনি চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য গত ৯ই আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরও লিখিত আবেদন করেন। গত ১৪ই আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আলোচিত এ পুলিশ কর্মকর্তার পদত্যাগ প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খোলেন। তখন তিনি বলেন, বাবুল আক্তার পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, যা বিবেচনায় রয়েছে। এর পরপরই পদত্যাগ, পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার ও চাকরিতে যোগ দেয়া সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়টি বাবুল আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে মিডিয়াকে জানানো হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ই জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন এসপি বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার নতুন কর্মস্থলে (পুলিশ সদর দপ্তর) যোগ দিতে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। স্ত্রী হত্যার খবর পেয়ে তিনি চট্টগ্রাম ছুটে যান। এ ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাত পরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন ওই ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের জবানবন্দিতে মিতু হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে কামরুল সিকদার ওরফে মুছার নাম সামনে চলে আসে। এরপর ২৪শে জুন রাতে এসপি বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার পর শুরু হয় নানা গুঞ্জন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |