৫০৪টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় পশু কোরবানির জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। করপোরেশন নির্ধারিত এসব স্থানে সমাজের সকল শ্রেণির নাগরিকদের পশু কোরবানি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
একইসঙ্গে পশু কোরবানির সময় বিভৎস দৃশ্য না দেখাতে শিশুদেরকে দূরে রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান। তবে নির্ধারিত স্থানের বাইরেও কোরবানি করা যাবে বলে মেয়র জানান।
সোমবার সকালে নগরভবনে কোরবানির পশু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নাগরিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এ আহ্বান জানান। সভায় ওর্য়াড কাউন্সিলর, ইমাম, সামাজিক সংস্কৃতি ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) প্রতিনিধিগণ তাদের মতামত দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, কমডোর বখতিয়ার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ।
সাঈদ খোকন বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে ঈদের দিন দুপুর থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে। তাই নিজের শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সবার এগিয়ে আসা উচিত। তিনি প্রতিটি মসজিদের ইমাম ও খতিবদের তাদের শেষ জুমার নামাজে কোরবানির পশু জবাইয়ের পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে করপোরেশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করার অনুরোধ করেন।
মেয়র বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করার জন্য ঈদের দিনে ঈমাম ও কসাইসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৫টি করে পশু জবাইয়ের নির্দিষ্ট স্থান রাখা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা চাই আরো বেশি পরিমাণ পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করতে সমাজের বিত্তশালী ও দানশীলরা এগিয়ে আসবেন।
সাঈদ খোকন বলেন, দুর্গন্ধ এড়াতে ঈদের দিনে কোরবানির স্থানে বিপুল পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হবে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পশু ক্রেতাদের বর্জ্য রাখার ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। এসব ব্যাগ পশুর হাট থেকে বা স্থানীয় কমিশনারগণ সমাজের সকল শ্রেণিকে সাথে নিয়ে প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। আমরা চাই কোরবানির পর রাজধানী ঢাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুক। তাই এ ধরনের উদ্যোগ আমরা হাতে নিয়েছি।