চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও মশার প্রজনন রোধে খাল-নালা পরিষ্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে শেখ মুজিব রোডের ড্রেন ও কালভার্ট থেকে ময়লা ও মাটি উত্তোলন কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। পরিদর্শনকালে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেন। উপস্থিত ছিলেন চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মেয়র বলেন, “আপনারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি করুন, আমিও চেষ্টা করছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন জায়গায় নালা ও ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে, লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। অন্যথায় জনগণের উপকারে আসা সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “মশার প্রজনন রোধে কোথাও ডাবের খোসা, বালতি বা নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত রাখা যাবে না। এতে পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়। বাসায় টব কিংবা বালতিতে দুই-তিন দিন পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। খোলা জায়গায় টব রেখে পানি জমালে সেখানেও লার্ভা জন্মায়।”

মেয়র জানান, মশার ওষুধের পূর্বের ঘাটতি মেটাতে ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ সংগ্রহ করা হয়েছে। নগরীতে বর্তমানে মশার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন সকাল ও বিকেল দুইবার করে মশকনিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। “আমি নিজেই মাঠ পর্যায়ে ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রতিটি ওয়ার্ড থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছি,” বলেন মেয়র।

এসময় তিনি জানান, সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অধীনে ঠিকাদারদের নির্মিত অস্থায়ী বাঁধের কারণে কোথাও কোথাও পানি উঠে সড়ক ডুবে যাচ্ছে। এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দ্রুত চসিক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে তিনি নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অবহেলা করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, “চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য, পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য।”

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে

Share Now
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031