মাত্র কদিন আগেও পাকিস্তান ক্রিকেটকে নিয়ে হাততালি দিয়েছিল ক্রিকেটবিশ্ব। কিন্তু এবার তার উল্টোটা হচ্ছে। ইংলিশদের বিপক্ষে ধবলধোলাই খেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও সিরিজ হেরেছে খুবই বাজেভাবে। তাইতো শেষ ম্যাচে মান বাঁচলেও বাঁচেনি সমালোচনার খড়গ। পুরো সিরিজে এমন গো-হারের ফলে দেশটিরই সাবেক তারকারাও রীতিমত গালমন্দ করছেন। করবেনই তো, টেস্টে এক নম্বরে ওঠার সাফল্য টাটকা থাকতে থাকতেই রঙিন পোশাকে পাকিস্তানের বিবর্ণ চেহারা সত্যিই বিরল লজ্জার!
ইতিহাস বলছে, একদিনের ক্রিকেটে সমীহ জাগানিয়া দলই ছিল পাকিস্তান। কিন্তু গেল ক’টি ম্যাচ যেভাবে খেলল পাকিস্তান তাতে মনে হচ্ছে ওডিআই র্যাঙ্কিয়ের তলানিতেই নামতে হতে পারে হাফিজ-মালিকদের।
তবে আজ ধোলাই না হলেও বিরল লজ্জার রেকর্ডটি আগেই পকেটে পুরেছেন পাক ক্রিকেটাররা। এর আগে দু’বার ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান। যেটি কিনা ওয়ানডের সর্বোচ্চ লজ্জার খেতাব। এর বেশি ব্যবধানে এখন পর্যন্ত কোনো দলই একদিনের ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশ হয়নি।
তাছাড়া ৪-০ ব্যবধানে একবার ধবলধোলাই হয়েছিল পাকিস্তান। ২০১১-১২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরব আমিরাতের মাটিতে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি পাকিস্তান। ৩-০ এবং ২-০ ব্যবধানে পাকিস্তান ছয়বার করে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ১৫বার দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ধবলধোলাই হয় পাকিস্তান ক্রিকেট।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরুর পর থেকে পাকিস্তান ৮৬৪টি খেলায় অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে জয় ৪৫৪, পরাজয় ৩৮৩, ড্র ৮ এবং ১৮টি খেলায় কোনো ফলাফল হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। এছাড়াও, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে রানার-আপ হয়েছিল দলটি। ১৯৮৭ ও ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সহ-স্বাগতিক দেশের মর্যাদা পায় পাক ক্রিকেট। ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান। ১৯৯৯ সালের এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কাঙ্ক্ষিত বিজয়ও অর্জন করে পাকিস্তান।
চোখ বুলানো যাক পাকিস্তানের বিরল ধবলধোলাইয়ে:
১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছিল পাকিস্তান।
২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ৫ ম্যাচের লজ্জাজনক হার।