ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল আসর । যে জমজমাট লড়াইয়ের মূল রূপকার হিসেবে গণ্য করা হয় দলীয় কোচকেই। যদিও ক্রিকেটে কোচের ভূমিকা খুব একটা আমলে নেয়া হয়না। তবে ফুটবলে কোচই নেপথ্য নায়ক।

বার্সেলোনা থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি থেকে ইন্টার মিলান আর বেনফিকা কিংবা ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিশ্বের নামি দামি যত ক্লাবগুলো আছে সবই তাঁর হাতের ছোঁয়া পেয়েছে।

দীর্ঘ ২২ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে তাঁর মাথায় উঠেছে অসংখ্য মুকুট। কুড়িয়েছেন ভক্ত আর ছাত্রদের বাহবা। তিনি আর কেউ নন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বস হোসে মরিনহো। তাইতো তাঁকে ফুটবলের সেরা ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলতে দ্বিধা বোধ করেননি ইউনাইটেডের সুইডিশ তারকা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ।

ম্যানচেস্টার ডার্বিতে মাঠে নামার আগে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ইব্রা। রোববার অনুশীলন শেষে ইংলিশ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সুইডিশ সুপারস্টার বলেন, ‘মরিনহো ফুটবলের সেরা মাস্টারমাইন্ড। ওনি খুব সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পনা করেন। এককথায় মাস্টারব্রেইনের অধিকারী বলা যায় তাঁকে।’

ম্যাচ কি করে জিততে হয় সেটি ভালো করেই জানা মরিনহোর এমনটি উল্লেখ করে ইব্রা বলেন, ‘ম্যানেজার হিসেবে কি করা উচিত সেটি খুব ভালোভাবেই আয়ত্তে আছে মরিনহোর। কিভাবে ম্যাচ জিততে হয় সেটি তিন বেশ জানেন। আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক শিখছি।’

উল্লেখ্য, হোসে মরিনহো। জন্ম ২৬ জানুয়ারি ১৯৬৩। পর্তুগালের সাবেক তারকা ফুটবলার তিনি। তাঁর নামের পাশে রয়েছে পরপর চারটি লীগ শিরোপা ঘরে তোলার রেকর্ড। তাছাড়া টানা দুই বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সংস্থার বিচারে শ্রেষ্ঠ ফুটবল কোচও নির্বাচিত হয়েছিলেন এই পর্তুগিজ কিংবদন্তি।

মরিনহোর উল্লেখযোগ্য সম্মাননা: 

এফ.সি. পের্তোর পক্ষে:

পর্তুগিজ চ্যাম্পিয়নশিপ : ২০০২–০৩; ২০০৩–০৪

সুপারকাপ ক্যান্ডিড দি অলিভিয়েরা: ২০০৩

কাপ অব পর্তুগাল: ২০০২–০৩

উয়েফা কাপ: ২০০২–০৩

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ: ২০০৩–০৪

চেলসির পক্ষে:

এফএ প্রিমিয়ার লীগ : ২০০৪–০৫; ২০০৫–০৬

ফুটবল লীগ কাপ : ২০০৪–০৫; ২০০৬–০৭

এফএ কাপ: ২০০৭

এফএ কমিউনিটি শিল্ড: ২০০৫

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031