আজ রবিবার বিকালে মামলার ধার্য তারিখে তারা আদালতে জামিনের জন্য উপস্থিত হলে মূখ্য বিচারিক হাকিম মো. সাইফুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুদকের দায়ের করা অর্থ আত্মসাত মামলায় শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীসহ সাত ইউপি সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম ব্যতীত অন্যরা হলেন- বয়তুল্লাহ, মোশারফ হোসেন, আব্দুল মালেক, আব্দুর রশীদ এবং সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য হাজেরা বেগম ও ইসমত আরা।
আদালতের নথি সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বে থাকাকলীন সময়ে কামারিয়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী ও ৬ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর শেরপুর সদর থানায় ৭টি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইলের উপ-সহকারী পরিচালক কমল কুমার রায়। বিভিন্ন প্রকল্পের ৬৪ লাখ ৫ হাজার ৬৭৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় ওই মামলাগুলোতে। কোনো কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে অনুমতি না নিয়ে কোনো সরকারি নীতিমালা অনুসরণ না করে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৬৪ লাখ টাকা আত্মসাত করেন অভিযুক্তরা। মামলা দায়েরের পর আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনে মুক্ত হন।
এদিকে মামলাগুলো তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইল উপ-সহকারী পরিচালক মোস্তফা বুরহান উদ্দিন আহম্মদ গত ৩১ মে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। আদালতে চার্জশিট গৃহীত হওয়ায় ধার্য তারিখে রবিবার আসামিরা মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির হলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।