শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডাকে শনিবার সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজিত জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে এ ডাক দেয়া হয়।জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এসব সমাবেশে অংশ নেন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অতিথি হিসেবে ছিলেন সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, র্যাবের মহাপরিচালকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
শনিবার দুপুরে রাজধানীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জঙ্গিবাদে জড়িত ব্যক্তিদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, তারা সময়মতো আত্মসমর্পণ না করলে তাদের পরিণতি হবে তামিম-মোরাদদের মতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জঙ্গিবাদ দমনে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে জঙ্গিবাদ।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, কোনো ছাত্র উগ্রবাদে জড়ালে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তার দায়িত্ব নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বড় ভাই শিক্ষার্থীদের কাছে বিভ্রান্তমূলক মতবাদ প্রচার করছেন খবর পেলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।
একই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, কেউ ইসলামের নামে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছেন সন্দেহ হলে তা পুলিশ জানাতে হবে। তা না করাও অপরাধ।
ইডেন সরকারি মহিলা কলেজের জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে অংশ নেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।
তিনি বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের স্থান নেই। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
রাজশাহী
রাজশাহীতে এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশে জঙ্গিদের সরাসরি গুলি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশেই আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু জঙ্গিরা গ্রেপ্তার হতে চায় না। তারা আত্মঘাতী।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের রামুতে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, জঙ্গিরা শুধু দেশ ও জাতির শত্রু নয়, তারা মা-বাবারও শত্রু। শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
রামু বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া সিলেট বরিশাল, পটুয়াখালী, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, যশোরসহ, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ হয়েছে।
খুলনা
খুলনা মহানগরীর সেন্ট জেভিয়ার্স মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এ পথের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তারা।
কর্মসূচি পালিত হয়েছে রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মসূচিতে যোগ দেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জামালপুর
জামালপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ হয়েছে। মেলান্দহ উপজেলার ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জাহানারা লতিফ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
অধ্যক্ষ এস এম আনছার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের ডাক দেন।
বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান চাঁন, ইউএনও জন কেনেডি জাম্বিল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সুজায়াত আলী, উপজেলা কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, মেয়র শফিক জাহেদী রবিন, আ.লীগের সম্পাদক মো. জিন্নাহ, বণিক সমিতির সভাপতি কিসমত পাশা, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রভাষক শফিউল আলম স্বপন ও আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাসক আশরাফ হোসেন।
নাটোর
গুরুদাসপুরসহ নাটোরের বিভিন্ন উপজেলার স্কুল-কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ আলোচনা সভা।
চলনবিল কারিগরি ও কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ মো. মকলেছুর রহমানের (এলিন) সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক মো. আবু তাহের সোনার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আছাদুজ্জামান, মিজানুর রহমান সুজা, গোলাম মোস্তফা, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, আবু শামীম ও ছাত্রদের পক্ষ থেকে সাগর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রভাষক হাবিবুর রহমান জালাল।
গাইবান্ধা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিসহ শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে প্রধান