ইরানকে আঞ্চলিক যুদ্ধে জড়ানোর চেষ্টা করছে দখলদার ইসরায়েল ৬৫ বছরের ইতিহাসে বার বার । তাদের উদ্দেশ্য হল ইরান যদি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র বাহিনী তাদের পক্ষ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। যেমনটি হয়েছিল ইরাক ও লিবিয়ার ক্ষেত্রে। কিন্তু ইরান সে পাতা ফাঁদে পা দেয়নি।
এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের তিনজন সিনিয়র কমান্ডারসহ সাতজন সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১ এপ্রিল) যুদ্ধবিমান থেকে ইসরায়েলি বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান অধিকৃত গোলান মালভূমি থেকে কনস্যুলেট ভবনকে হামলার নিশানা করেছিল। সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলের ছোড়া কিছু ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। কিন্তু অন্য আরও ক্ষেপণাস্ত্র কনস্যুলেটে আঘাত হেনে গোটা ভবনই ধসিয়ে দিয়েছে এবং ভেতরে থাকা প্রত্যেকেই হতাহত হয়েছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ বলেছেন, ‘আমরা এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই, যেটি দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নিরপরাধকে হত্যা করেছে।’
ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হোসেন আকবারি এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হননি। কনস্যুলেটের যে ভবনটিতে হামলা হয়েছে তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
ইরানের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, হামলাটি দূতাবাসের কম্পাউন্ডের একটি কনস্যুলার ভবনে আঘাত হানে এবং তার বাসভবন উপরের দুই তলায় ছিল।
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস এক বিবৃতিতে বলেছে, কুদস ফোর্সের একজন সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ সাতজন সামরিক উপদেষ্টা হামলায় নিহত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে সিরিয়ার আরেকটি বড় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় ৫৩ জন নিহত হন। যার মধ্যে ৩৮ সিরীয় সেনা এবং হিজবুল্লাহর ৭ যোদ্ধা ছিলেন।