আদলত থেকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডকে শহীদী মৃত্যু বলছেন জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। সন্ধ্যায় তার সঙ্গে দেখা করে এসে তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন এ কথা জানান। কাসেমপত্নী দাবি করেন, ফাঁসি কার্যকরের ভয়ে তার স্বামী ভীত নন।
বিকালে স্বজনদের নিয়ে কাশিমপুর কারাগারে যান আয়েশা খাতুন। সন্ধ্যায় কারাগার থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চান এই সাক্ষাতে মীর কাসেম কী বলেছেন। জবাবে তার স্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছেন মৃত্যুভয়ে তিনি ভীত নন।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলাম রক্ষার নামে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। তখন এই দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতা ছিলেন মীর কাসেম। এই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দিয়ে গড়ে তোলা খুনি বাহিনী আলবদরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার ছিলেন মীর কাসেম। মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে নির্যাতনকেন্দ্র খুলে হত্যার দায়ে শাস্তি হয়েছে এই জামায়াত নেতার।
এই রায়ের বিষয়ে মীর কাসেম কী বলেছেন, জানতে চাইলে তার স্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছেন, যারা ফাঁসি দিচ্ছে তারা জয়ী হবে না।এই মৃত্যু ইসলামের জন্য মৃত্যু। এই মৃত্যু শহীদের শামিল।’
কাসেমপত্নী জানান, মীর কাসেম তার নিখোঁজ ছেলে আহমান বিন কাসেমকে দেখতে চেয়েছিলেন। গত ১০ আগস্ট থেকে তিনি নিখোঁজ আছেন। জামায়াতের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে তুলে নিয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, তারা আহমাদ বিন কাসেমকে তুলে আনেননি। তিনি হয়ত লুকিয়ে আছেন।
এর আগে ছেলে ফিরে না আসা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন মীর কাসেম। পরে অবশ্য ছেলে ফিরে না আসলেও তিনি তার সিদ্ধান্ত জানান।
ছেলের বিষয়ে জামায়াত নেতা কী বলেছেন, জানতে চাইলে তার স্ত্রী বলেন, ‘তিনি বলেছেন, আমার আশা ছিল মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে দেখা করবো। কিন্তু হলো না।’