নারীদের গড় আয়ু বেশি বাংলাদেশে । এর কারণে পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি। বর্তমানে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ বেশী। অন্যদিকে শহরের তুলনায় গ্রামে তালাক ও বিয়েতে এগিয়ে গ্রামের মানুষ।

জানা যায়, দেশে শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি বিয়ে হচ্ছে। একইসঙ্গে তালাকের দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে গ্রামের লোকজন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শহরে বিয়ের হার কম। ২০২৩ সালে শহরে বিয়ের হার ছিল প্রতি হাজারে ১২টি। আর গ্রামে এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৮। এ ছাড়া ২০২২ সালে শহরে বিয়ের হার ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে বিয়ের হার ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল।

গ্রামে শুধু বিয়ে নয়, তালাকের হারও বেশি। ২০২৩ সালে গ্রামে তালাকের হার ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। শহরে তালাকের হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২২ সালে গ্রামে তালাকের হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহরে তালাকের হার ১ শতাংশ ছিল।

অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
তালাকের কারণ হিসেবে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদি রয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে বিয়ের হার ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিয়ের হার কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। পাশাপাশি তালাকের হারও কমেছে। দেশে ২০২২ সালে তালাকের হার ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে হয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ।

দেশে তালাকের সঙ্গে বিচ্ছেদও কমেছে

দেশে ২০২৩ সালে তালাকের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.১ শতাংশে। যা ২০২২ সালে ছিল ১.৪ শতাংশ। ০.৭ শতাংশ ছিল ২০২১ সালে। এ ছাড়াও দেশে দাম্পত্য বিচ্ছেদের হারও কমেছে। গত বছর দাম্পত্য বিচ্ছেদের হার ছিল ০.২৬ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ০.২৯ শতাংশ ছিল।

এছাড়া মৃত্যুহারের বিষয়ে বলা হয়, নারীর থেকে পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি। ২০২৩ সালে প্রতি হাজারে পুরুষের মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আর সেখানে নারীর ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। আর প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031