মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এক বাংলাদেশি যুবক দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায়রয়েছেন। এ অবস্থায় বুধবার নিজে মানসিক ভারসাম্যহীন জানিয়ে মৃত্যুর মাধ্যমে এই অবস্থার সমাপ্তি টানতে চান বলে পুলিশকে জানান উইন। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য।
জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ নিহত হয়েছেন। তার নাম উইন রোজারিও। নিউইয়র্কের ওজন পার্কের নিজ বাসায় পুলিশ তাকে গুলি করে। বিনা কারণে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।
নিহতের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিওর অভিযোগ, তার নিরপরাধ ছেলেকে হত্যা করেছে পুলিশ। তিনি জানান, বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ওজন পার্কের ১০৩ স্ট্রিট ও ১০১ এভিনিউয়ের বাসা থেকে নিজেই ৯১১ নম্বরে কল করেন উইন রোজারিও। ফোনে নিজে মানসিক ভারসাম্যহীন জানিয়ে মৃত্যুর মাধ্যমে এই অবস্থার সমাপ্তি টানতে চান বলে পুলিশকে জানান উইন। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাকে গুলি করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা বলেন, তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন জেনেও পুলিশ গুলি চালায়। তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন।
ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে অভিবাসী হয়েছিলেন তারা। উইনের স্বপ্ন ছিল মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগদান করার। তবে গ্রিন কার্ড পেতে বিলম্বের কারণে তার সেই পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়।
উইনের মা বলেন, ‘আমার ছেলে পুলিশের দিকে তেড়ে যায়নি। আমাকে জড়ায়ে ধরে ও শুধু বলেছে ডোন্ট টাচ মি। এটুকুই শুধু বলেছে। পুলিশ ঢুকেই ফায়ার করেছে। আমার সামনেই আমার ছেলেকে গুলি করে মারে।’
তবে পুলিশের দাবি, বাড়িতে পৌঁছে উইন রোজারিওকে কাঁচি হাতে দেখতে পান তারা। এ সময় কাঁচি নিয়ে তেড়ে এলে পুলিশ গুলি চালায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণকে নিউইয়র্কের কুইন্সের বাড়িতে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওই তরুণ মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন এবং গুলিতে নিহত হওয়ার আগে সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে ফোন করেছিলেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, উইন রোজারিও নামের ওই তরুণ এক জোড়া কাঁচি দিয়ে পুলিশ অফিসারদের দিয়ে তেড়ে যান এবং এরপরই একপর্যায়ে কর্মকর্তারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।