এডিস মশার প্রকোপ কমাতে দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনগুলোতে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি টাকা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, একইসঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে ও প্রচারণায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কার্যক্রম বিষয়ে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সারা পৃথিবীতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। মানুষের সচেতনতাই হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ৯০ শতাংশ কার্যকরি হাতিয়ার আর বাকি ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল বা ওষুধের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যেত, কিন্তু গত বছর থেকে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেছে, এখন ঢাকার বাইরেও তা ছড়িয়েছে। সেজন্য জেলা শহরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ইলেকট্রনিকস মিডিয়াতে টিভিসি ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী জানান, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো সমাধানে কাজ করা হচ্ছে এবং অতিশীঘ্রই জন্ম নিবন্ধন সেবা সহজে মানুষের নাগালে পৌঁছে যাবে।
পরিবেশ সুরক্ষায় অবকাঠামো নির্মাণে ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী গ্রামীণ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একই রাস্তায় দুইবার বরাদ্দ রোধে আইডি দেখে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান।
জলাশয় ও পানি সংরক্ষণ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলাশয়গুলো সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।