(বন্দর ও পশ্চিম) চট্টগ্রাম শহরে চুরি ছিনতাই হওয়া মোবাইলগুলো ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে মুহূর্তে বদলে দেওয়া চক্রের মুল হোতা মোঃ সরোয়ার হোসেন সুজন ওরফে শাহন (৩১) কে গ্রেফতার করেছে ডিবি ।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিং বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবি (বন্দর ও পশ্চিম), গতকাল নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন মৌসুমী আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযান আইএমইআই বদল করা অবস্থায় ৫২ টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল সেটসহ ঐ কাজে ব্যবহৃত ২টি ল্যাবটপ উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিং ডিবি জানান, গ্রেফতার সরোয়ার আইএমইআই পরিবর্তনের জটিল কাজগুলো টিম ভিউয়ার সফটওয়্যারের মাধ্যমে পাকিস্তানি ও ইন্দোনেশিয়ান এক্সপার্ট দিয়ে করাতেন। গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর মৌসুমী আবাসিক এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে আইএমইআই বদলে দেওয়ার মুল হোতা সরোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
তাকে ২টি ল্যাপটপ এবং ৫২টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল সেটসহ আইএমইআই করা রত অবস্থায় গ্রেফতার করে ডিবি।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আইএমইআই বদলের জন্য প্রায় ৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে দুইটি সফটওয়্যার ক্রয় করে তার ল্যাপটপ ইন্সটল্ড করেছে। উক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করে ২ মিনিটেই আইএমইআই খুব সহজে বদল করে পেলেন।
গ্রেফতার সরোয়ার আইটি বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে লেখাপড়া করেছেন। সে আগে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্টানে কাজ করতেন। তিনি ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভিডিও দেখতে দেখতে, বিদেশী সাথে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে এই বিদ্যাটা আয়ত্তে এনে সাড়ে তিনমাস ধরে নিজ বাসা এই কাজ করতেন সরোয়ান।
প্রতিদিন তিনি ৫/৬০ টি মোবাইল এভাবে আইএমইআই বদল করে থাকেন। নগরীর আলংকার শপিং কমপ্লেক্সে নিজের দোকান ও অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করেন। মোবাইলগুলো চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকা হতে চুরি, ছিনতাই বা পকেটমারদের নিকট হতে কম দামে ক্রয় করে এভাবে মোবাইলের আইএমইআই বদলে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
এর মধ্যে অত্যধুনিক মোবাইলগুলো আইএমইআই বদলের জটিল কাজ গুলো পাকিস্তানী বা ইন্দোনেশিয়ান এক্সপার্টদের ডলার পে করার মাধ্যমে করতেন। মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের কাজ কারো কাছ থেকে নিলো সে প্রতি মোবাইলে ১ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতেন।
গ্রেফতার সরোয়ার বলেন, আগে এই কাজে ছিলাম না। এই কাজ করবো এমন মানসিকতা ছিল না। বিভিন্ন ভিডিও দেখতে দেখতে এক একপর্যায়ে বিদেশী এক্সপার্টদের সাথে পরিচয় হয়। তারপর কাজগুলো করি। নিজে চোরাই মোবাইল ক্রয় করে তারপর আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রি করতাম।