গত বছর এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে নিহত হন কমপক্ষে ২২৩৬ জন হজযাত্রী। সেখানে যাতে এবার কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা প্রতিটি মুসলিম হজ যাত্রির কাছে পবিত্র হজের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তবে জামারায় গিয়ে ওই পাথর নিক্ষেপের সময়সীমা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ১০ই জিলহজ তারিখে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জামারায় পাথর নিক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১১ই জিলহজে স্থানীয় সময় বিকাল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ করা যাবে না।
১২ই জিলহজে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত পাথর নিক্ষেপ করা যাবে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, আন্ডারসেক্রেটারি হুসেইন আল শরীফের সঙ্গে তাওয়াফ এস্টাব্লিশমেন্ট ফর পিলগ্রিমস অব তার্কি, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া আলোচনা করে এ সিদ্ধান্তে এসেছে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ। এ সময় আন্ডারসেক্রেটারি বলেছেন, হজ একটি জাতীয় মিশন।
এটা নিরাপদ ও নিরুদ্বিগ্ন করতে প্রত্যেককে জড়িত হতে হবে। তিনি বলেছেন, এবার তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো হজযাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করে নিরাপদে তাদের তাঁবুতে ফেরত যাওয়া নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে তাদেরকে বরাদ্দকৃত নম্বর অনুযায়ী রুটে যেতে হবে এবং ভিড় পরিহার করতে হবে।
আরেকটি সমন্বয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে হজ শুরুর আগে নামাজের সময় ঘনিয়ে এসেছে এমন অবস্থায় হজযাত্রীদের পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফ (তাওয়াফ আল কুদুম) করার অনুমতি দেয়া হবে না।
কমিটির কর্মকর্তাদের মতে, নামাজ শুরুর এক ঘণ্টা আগে ও এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত এ তাওয়াফ করতে দেয়া হবে না। এর বাইরেও হজযাত্রীদের যথাযথ ব্রেসলেট পরতে হবে। থাকতে হবে ইহরাম বাঁধা অবস্থায়। সঙ্গে থাকতে হবে আইডি বা পরিচয়পত্র।