শতবর্ষী এই সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে ধসে বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।
কোনো সমস্যা আছে বলে খালি চোখে মনে হয় না। কারণ দৃশ্যমান ফাটল, পলেস্তরা উঠে যাওয়া প্রভৃতি কর্তৃপক্ষ দ্রুত মেরামত করে। কিন্তু ঝিকরগাছা শহরের ওপর যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে কপোতাক্ষ নদের সেতুটি আসলে যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯০৭ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১১৯ মিটার এই সেতুটি নির্মাণ করে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে বেনাপোল ও সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিকৃত পণ্যবোঝাই কয়েকশ’ ট্রাক। এছাড়া বেনাপোল ও সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে যশোর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহগামী বাস চলাচল করে থাকে এই রাস্তায়। এছাড়াও চলাচল করে কয়েক হাজার কার ও মিনি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি অনেকদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেতুটিতে ফাটল দেখা গেলে উপরিভাগ কার্পেটিং করে দেওয়া হয়। কিন্তু এর দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। যানবাহন চললে সেতুটি কাঁপতে থাকে। সেতুর কোনো কোনো স্থান দেবে গেছে। যে কারণে সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষ ও যানবাহনকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছর তিনেক আগে বিশেষজ্ঞরা জরিপ করে সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য মতামত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুপারিশ আজো বাস্তবায়ন হয়নি।
ঝিকরগাছার বাসিন্দা মাসুদ আলম জানান, শত বছর আগে কপোতাক্ষ নদের ওপর সেতুটি করা হয়েছিল। কিন্তু সেতুটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোনো মুহূর্তে এই সেতুতে বড় দুঘর্টনা ঘটতে পারে।
গত বছর এই সেতুর ওপর দিয়ে যোগযোগমন্ত্রী সাতক্ষীরায় যান। এ সময় উপজেলা প্রশাসন সওজের সহযোগিতায় তড়িঘড়ি করে সেতুর উপরিভাগ সংস্কার করে। কিন্তু সেতুর নড়বড়ে অবস্থা রয়েই গেছে।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ইকবাল বলেন, ‘ঝিকরগাছার সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে সেতুটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে।’
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |