এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ অপহরণের দুই দিন পর তাওহীদ ইসলাম (১০) নামে ঢাকার কেরানীগঞ্জে
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন তেঘরিয়া ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বনের ভেতর ময়লা আবর্জনা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাওহীদ উপজেলার আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী। তার পিতা উজ্জ্বল হোসেন ও মা তাসলিমা বেগম বলেন জানা যায়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী মা তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও নিহত তাওহীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ওই শিক্ষার্থী প্রতিদিনের ন্যায় ক্লাস শেষে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় তার মা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর তার মায়ের মোবাইলফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি ফোন আসে।
মোবাইলফোনে বলা হয়, ‘আসসালামু আলাইকুম’। আপনার ছেলে ভালো আছে। কেরানীগঞ্জেই আছে, আজকের মধ্যে তিন লাখ টাকা দিলে ছেলেকে পাবেন। বিষয়টি পুলিশ ও এলাকার কাউকে জানাবেন না। জানালে আপনার ছেলে তাওহীদের ক্ষতি হবে। এদিকে, অপহরণকারীদের কথামত নিহতের মা তাসলিমা আক্তার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ফুটওভার ব্রিজের নিচে পিলারের গোড়ায় ৩ লাখ টাকা রেখে আসেন। কিন্তু অপহরণকারী চক্র মুক্তিপন পেয়েও তার ছেলে তাওহীদকে মুক্তি না দিয়ে হত্যা করে লাশ উপজেলার আবদুল্লাহপুর মধ্যপাড়া রাস্তার ময়লা আবর্জনায় রেখে যায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী তাওহীদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরে কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি মাহবুব আলম।