ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও সম্পর্কন্নোয়নের ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়বে না বলে। বরং ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর এবং দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে নতুন করে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাইডেন প্রশাসন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তঃসহযোগিতা বাড়াতে কাজ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই আগ্রহের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি জানান, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত তারা। ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘এ ধরনের সম্পর্ক বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গেই আছে আমাদের। আমরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। বাংলাদেশের ক্র্যাকডাউন নিয়েও আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। তবে এর মানে এই নয় যে, দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার দায়িত্ব নেই আমাদের।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন সাধারণ মানুষ। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসে ১১ দেশের ১২৭ জন পর্যবেক্ষক। দফায় দফায় সংবাদ সম্মেলনের পর তারা মতামত দেন, নির্বাচন হয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য।
সরাসরি উপস্থিত থেকে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা যখন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে জানান, তখন পর্যবেক্ষক না পাঠিয়েই ভিন্ন সুর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ভোট নিয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানায় তারা। কিন্তু, এবার বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন হবে, সেই প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার দিকেই যুক্তরাষ্ট্রের নজর থাকবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ম্যাথিউ মিলার।