আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে সরকার মাঠে নেমেছে জানিয়ে জনগণকে আস্থা রাখার অনুরোধ করেছেন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের সংকট লাঘব করতে পুরো টিম নিয়ে নেমে গেছেন জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ইনশাআল্লাহ দ্রব্যমূল্য অচিরেই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বিএনপি–জামায়াতের ‘অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ’ নামে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। একই দিন বিএনপি ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করে গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিলসহ নানা দাবিতে। খবর বিডিনিউজের।
কাদের বলেন, দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে। তার মতো জনবান্ধব সরকার আর আসেনি। আপনারা আস্থা হারাবেন না। আজকে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা। এমনকি লোহিত সাগরেও যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে আছে। আমাদের বেশি টাকা দিয়ে আমদানি করতে হয়, বিক্রি করতে হয় কম দামে। ধৈর্যহারা হবেন না। শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন। দ্রব্যমূল্য কমে যাবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসে পুরো টিম নিয়ে নেমে গেছেন জনগণের সংকট লাঘব করতে। তিনি গোটা মন্ত্রিসভাকে কর্মপরিকল্পনা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে ডাক দিয়েছেন। সবাই কাজে নেমেছে। ইনশাআল্লাহ এভাবে চললে আমরা অচিরেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।
জনগণের সংকট শেখ হাসিনার ‘হৃদয়ে লাগে’ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাত ৩টায় ফোন করে তাকে পাওয়া যায়। এমন প্রধানমন্ত্রী পাবেন আর কোথাও? কোনো দেশে আছে? দুপুরের খাবার রাতে খান, কোনো কোনো দিন খানও না। আমি এটা বাড়িয়ে বলছি না, সত্য কথা বলছি। এমন প্রধানমন্ত্রী পাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভাগ্যবান। আস্থা রাখুন, আস্থা হারাবেন না। বিএনপির কথায় কান দেবেন না। এরা ভুয়া, এদের সকল কথা আজকে ভুয়ায় পরিণত হয়েছে।
বিএনপির কালো পতাকা মিছিলকে ‘শোক মিছিল’ অভিহিত করে তিনি বলেন, এ আরেক ভুয়া, আন্দোলনের নামে ভুয়া। ৩০ তারিখে (জানুয়ারি) আবার ডাকছে। সেটাও ভুয়া। লোকজন নেই, জনগণ নেই, নেতাকর্মীরা হতাশ। তারেক জিয়ার প্রতি কোনো আস্থা নেই। নেতাকর্মীরা এখন আর তারেকের ফরমায়েশে কান দেয় না। বাংলাদেশের জনগণ তো নয়ই।
ডিবি অফিসে বোয়াল খেয়ে পালিয়েছিল কারা : বাংলানিউজ জানায়, ডিবি অফিসে বোয়াল মাছ খেয়ে কারা পালিয়েছিল? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কাছে তা জানতে চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের। গয়েশ্বর এতদিন কোথায় ছিলেন, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আরও ৫ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর? কবে হবে আন্দোলন? এই বছর না ওই বছর? রোজার পর না কোরবানির পর?
আগামী ৩০ জানুয়ারি সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাহারায় থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, খেলা একটা হয়ে গেছে। নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন খেলা হবে রাজনীতির। এখন খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। খেলা হবে জঙ্গিবাদ, হরতাল, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।