আইসল্যান্ডের ওই অঞ্চলে কয়েকদিনের মধ্যে শ’-খানেক ভূমিকম্প হয়েছে । তারই জেরে জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি। মাসখানেক আগে একবার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল ওই আগ্নেয়গিরিটি থেকে।
রোববার সকালে রেকেনেস অঞ্চলে দ্বিতীয়বার জেগে ওঠে আগ্নেয়গিরি। লাভাস্রোত ঢুকতে শুরু করেছে স্থানীয় বসতি অঞ্চলে।
দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত রেকেনেস পেননিসুলা। সেখানেই আছে এই আগ্নেয়গিরিটি। রোববার সকাল থেকে আকাশ লাল করে লাভাস্রোত বের হচ্ছে ওই আগ্নেয়গিরিটি থেকে। লাভার যে দেওয়াল এতদিন পর্যন্ত সেখানে ছিল, তা ভেঙে ক্রমশ লাভাস্রোত নিচের দিকে নামতে থাকে। পাহাড়ের নিচেই আছে গ্রিনদাভিক শহর। মৎস্যজীবীদের ওই এলাকায় ঢুকে পড়ে লাভাস্রোত। তার আগেই অবশ্য এক রাতের মধ্যে পুরো শহর খালি করে দেয়া হয়েছিল।
৩৮০০ মানুষ ওই এলাকায় বসবাস করতেন। তাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত নভেম্বরে একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ওই এলাকা। তখনো একবার তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে তারা বাড়ি ফিরেছিলেন। এবার আরো একবার তাদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। লাভাস্রোত শহরে ঢুকে যাওয়ার পর আর তারা সেখানে ফিরে যেতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ‘অগ্ন্যুৎপাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়।’
রোববার সকালে একটি স্থানীয় চ্যানেলের ফুটেজে দেখা গেছে, গল গল করে লাভা শহরের বাড়িতে ঢুকে পড়ছে। একটি বাড়িতে আগুন লেগে গেছে। দাউদাউ করে সেটি জ্বলছে।
দেশেটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বোঝা সম্ভব নয়। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে সরকার।’
একইসাথে তিনি জানিয়েছেন, ‘অগ্ন্যুৎপাতের জন্য এখনো কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি।’
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘রোববার সকাল ৭টা ৫৭ মিনিটে প্রথম অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় আগ্নেয়গিরিটি থেকে। যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে আইসল্যান্ডের রাজধানী মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে। ওই গোটা অঞ্চলে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে।’ সূত্র : ডয়চে ভেলে