একটি অবৈধ সোনার খনি ধসে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় । ভারি বর্ষণের কারণে বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও ছোট আকারের ওই খনিতে একদল লোক খনন কাজ শুরু করলে ভূমিধস ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলের বারিয়াদি জেলার প্রশাসক সাইমন সিমালেঙ্গা জানিয়েছেন, গত শনিবার সিমিউ অঞ্চলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তিনি বলেন, ২৪ থেকে ৩৮ বছর বয়সী একদল লোক এমন একটি জায়গায় খনন শুরু করেছিল, যেখানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কার্যকলাপ সীমিত ছিল। প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান ভূমিধস ও প্রাণহানির খবরে ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন।
সাইমন বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছিল, ১৯ থেকে ২০ জন মানুষ খনিতে আটকা পড়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা ২২ জনের লাশ উদ্ধার করতে পেরেছি।’
তিনি জানিয়েছেন, দলটি প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে খনিজসমৃদ্ধ একটি জায়গা আবিষ্কার করেছিল। সরকার শারীরিক ও পরিবেশগত সুরক্ষা এবং পদ্ধতি অনুমোদন করার আগেই তারা খনন শুরু করতে চলে গিয়েছিলেন।
তানজানিয়ায় অনিয়ন্ত্রিত এবং অবৈধ উপায়ে খনিতে খনন বেশ সাধারণ ঘটনা। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদক দেশ।
যাযাদি/ এসএম