সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে শিশুটির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করানোর জন্য আনা হয় আয়ানকে। সেদিন বেলা ৯টায় খতনা করার জন্য তাকে পুরোপুরি অজ্ঞান করা হয়। খতনার পর ১১টায়ও জ্ঞান না ফিরলে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে এনে লাইফসাপোর্টে রাখা হয় শিশুটিকে।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জানুয়ারি রাতে লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে দেওয়া আয়ানের মৃত্যু সনদে ‘কার্ডিও-রেসপিরেটরি ফেইলিওর, মাল্টিঅর্গান ফেইলিওর এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ কে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখান হয়েছে।
আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সেখানকার দুই জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার পরিবার। এছাড়া এ ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী।
গতকাল রোববার আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সোমবার চার সদস্যের একটি কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধানকে কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে ওই হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখার একজন সহকারী পরিচালকও আছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।