বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ২২২ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন ।
মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত রাখার আবেদনও মঞ্জুর করেন বিচারক।
সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভীন হীরা স্থায়ী জামিন ও অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন দাখিলের পর বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন।
বিচারক এই মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
গত ২২ আগস্ট একই আদালত সম্রাটের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দেন। আদেশে উল্লেখ ছিল, সম্রাটকে তার জামিনের বন্ড জমা দেওয়ার সময় তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। জামিনের আদেশে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন সম্রাট। এরপর থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে জানায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। ঢাকার বিভিন্ন স্পোর্টিং ক্লাবে র্যাব সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার সন্ধান পাওয়ার পর তিনি আলোচনায় আসেন। তাকে ক্যাসিনো ব্যবসার ‘মূল হোতা’ হিসেবে দেখানো হয়।
গ্রেপ্তারের পর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।