শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঠান্ডা বাতাসের সাথে জেঁকে বসেছে শীত নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী পোরশা উপজেলায় ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতিথি সহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে থাকায় সূর্য্যরে তাপ তেমন ছড়ছেনা। ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
ঘন কুয়াশা আর শীতের দাপটে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা বেসামাল হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় রাস্তাঘাটে ব্যহত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল ও স্থানীয়দের গ্রামীণ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সাথে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কুয়াশা ঝরছে ব্যাপকভাবে। এ উপজেলায় গত ৪দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। অন্যান্য দিনের তুলনায় সোমবার তাপমাত্রা আরও কমেছে। এই শীতে ও ঘন কুয়াশায় শিশু এবং বৃদ্ধরা শারিরীকভাবে নানা সমস্যায় রয়েছেন বলে জানাগেছে। জালুয়া গ্রামের আনিছুর রহমান জানান, শীতে তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পাচ্ছেন না। এতে তার কাজ কর্ম মারাত্বক ব্যাহত হচ্ছে। ভ্যান চালক হামিদুল ইসলাম জানান, ঘন কুয়াশা ও শীতে রাস্তায় ভ্যান নিয়ে বের হলেও তেমন লোকজন হচ্ছেনা। ফলে তার পরিবার চালনার মত আয় করতে পারছেনা বলে তিনি জানান।
অপরদিকে বেশী কষ্টে রয়েছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে কাজে যেতে পারছেন না তারা। তারা সময়মত কাজে যেতে না পারায় বিপদে রয়েছেন। কাজ না করতে না পারায় রোজগার হচ্ছেনা তাদের। এতে তারা সংসার পরিচালনার খরচ নিয়ে চিন্তিত। সীমান্তবর্তী নিতপুর বাংগালপাড়ার বাসিন্দা কামরুজ্জামান সরকার বাবু বলেন, তীব্র শীতে এলাকায় বসবাসরত জনগণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খেটে খাওয়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পাচ্ছেনা।
এমহুর্তে অসহায় শীতার্তদের শীতবস্ত্র খুব জরুরী। তবে জেলার বদলগাছি আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, সোমবার সকাল ৬টা এবং ৯ টার দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু ব্যাপক কুয়াশা ঝরছে এ কারনে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়া ভাল। এই কুয়াশা শরীরে পড়লে নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই আবহাওয়া আরো দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।