যুক্তরাষ্ট্রের এক শিক্ষিকা হ্যালি নিচেলে ক্লিফটন-কারম্যাক (২৬) ফেঁসে গেছেন ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগে । তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফেঁসে গেছেন ওই শিক্ষার্থীর পিতা। তিনি তার ছেলের সঙ্গে শিক্ষিকার যৌন সম্পর্কে সমর্থন দিয়েছিলেন। হ্যালি যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি রাজ্যে অবস্থিত ল্যাকুই হাই স্কুলে কর্মরত ছিলেন। ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে গত সপ্তাহে টেক্সাসের গার্ডেন রিজের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদালতের ডকুমেন্ট অনুযায়ী, হ্যালির সঙ্গে ওই বালকের যৌন সম্পর্কের কথা জানতো অন্য একজন ছাত্র। ডিসেম্বরে বিষয়টি সে স্কুলের রিসোর্স অফিসারের কাছে রিপোর্ট করে। ফলে পুলিশ বিভাগকে জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ছাত্রটি পুলিশকে বলেছে, প্রত্যক্ষদর্শীর বাড়ি যাওয়ার পথে ড্রাইভওয়েতে তার ১৬ বছর বয়সী সহপাঠীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন হ্যালি। এ সময় সহপাঠীর পিঠে আঁচড়ের দাগযুক্ত বেশ কিছু ছবি দেখায় সে।
দাবি করে, এসব দাগ হয়েছে ওই শিক্ষিকার কারণে। প্রত্যক্ষদর্শী ওই শিক্ষার্থী আরও জানায়, সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় হ্যালির। এর কারণ ১৬ বছর বয়সী ওই বালকের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক।
ডিসেম্বরে এসব নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে হ্যালিকে। তবে তিনি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ তার মোবাইল ফোন চেক করে। তাতে বেরিয়ে আসে একগাদা ম্যাসেজ। এসব ম্যাসেজ বিনিময় হয়েছে হ্যালি ও তার ১৬ বছর বয়সী ওই ছাত্রের মধ্যে। এতে পুলিশ তাদের সম্পর্কের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যায়। এরই মধ্যে মিসৌরি ত্যাগ করেন হ্যালি। চলে যান টেক্সাসে। ততক্ষণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করে নেয়া হয় জেলে।
সুপারিনটেডেন্ট কেন্ট স্টোমব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে স্কুল চত্বরে আর দেখা যায়নি হ্যালিকে। ওই সময়ই অভিযোগ প্রথম ছড়িয়ে পড়ে। আমরা স্কুলের সবার প্রতি শ্রদ্ধা, সুষ্ঠুতা, ন্যায়পরায়ণতা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে স্বাগত জানাই।
ওদিকে ওই শিক্ষার্থীর পিতা মার্ক ক্রাইটনও জানতেন তার ছেলের সঙ্গে শিক্ষিকার এই সম্পর্কের কথা। তার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। পরে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।