রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর । গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। মোস্তাফিজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসমা জলিল। ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের শেষ পর্যায়ে এসে চট্টগ্রাম–১৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। খবর বাংলানিউজের।
মোস্তাফিজুর রহমানকে ইসির আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালামের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১৬ সংসদীয় আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী আরপিও, ১৯৭২ এর ধারা ৭৩ ও ধারা ৮৪ক–এর অধীনে নির্বাচনী অপরাধ সংঘটন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম এবং পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।’ ‘বর্ণিত প্রতিবেদনসমূহ পর্যালোচনায় ওই প্রার্থী কর্তৃক উপরিউক্ত নির্বাচনী অপরাধসমূহ সংঘটনের বিষয়টি প্রতীয়মান হওয়ায় আরপিও ১৯৭২ এর ধারা ৯১–ঙ এর অনুচ্ছেদ (২) এর বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিলের সদয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ ‘এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে বর্ণিত নির্বাচনী অপরাধসমূহ সংঘটনের দায়ে আরপিও, ১৯৭২ এর ধারা ৯১–ঙ এর অনুচ্ছেদ (২) এর বিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৩ চট্টগ্রাম–১৬ সংসদীয় আসনে আপনার প্রার্থিতা বাতিল করা হলো।’ ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে ইসি।