চট্টগ্রামের রাউজান দেশে সবচেয়ে বেশি ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড করেছে। গতকাল অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাউজানের হাজার হাজার মানুষ দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। শহরে বসবাসকারী রাউজানবাসীরাও দলে দলে সামিল হয়েছিলেন ভোট উৎসবে। সকাল থেকে ভোট শেষ হওয়া অব্দি প্রতিটি কেন্দ্রে ভিড় লেগে ছিল। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষকে ভোট দিতে দেখা গেছে।
রাউজানে সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯২০ জন। এরমধ্যে ৯৫টি ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৩০ হাজার ৪৭১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই আসনে ভোটারের উপস্থিতি ৭২.৭২ শতাংশ। ভোটার উপস্থিতির এই হার চট্টগ্রাম তথা দেশের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি। এবারের নির্বাচনে রাউজান আসনে প্রদত্ত মোট ২ লাখ ৩২ হাজার ৩২১ ভোটের মধ্যে এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শফিউল আজম ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ৩১৫৯ ভোট। দুই লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজান আসন থেকে (২০০১ সাল থেকে টানা ৫ বার) পঞ্চমবারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রাক্কালে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ওনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা অসীম। আমার ওপর তিনি আস্থা রেখেছেন। যতদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতে দেশ থাকবে ততদিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, আমি রাউজানের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার দুর্দিনেও তারা আমার পাশে ছিলেন। এখনো পাশে আছেন। আমি রাউজানের মাটি ও মানুষের তরে জীবন উৎসর্গ করেছি। রাউজানের মানুষের জন্য নিজের সাধ্যমতো কাজ করেছি। আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আমাকে আমার স্বপ্নের বাকি কাজগুলো করতে আবারো সুযোগ দেয়ায় রাউজানের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, রাউজানের মানুষ উৎসবের আমেজে ভোট দিয়েছে। আর কোথাও এত বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়নি। অনন্য এই উপস্থিতির জন্যও তিনি রাউজানের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।