জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোন পশুর হাট বসতে দেয়া হবেনা আসন্ন কোরবানীর ঈদে । বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আইন- শৃংখলা সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।বৈঠকে ঈদ ও পূজায় আইন- শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “নতুন করে কোথাও হাট বসাতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে, স্থানীয়ভাবে ইউএনও অথবা কোন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পশুর হাটের অনুমতি দিতে পারবেনা, জেলা প্রশাসেনর অনুমতি ছাড়া যে কেউ হাট বসালে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।”
তবে, এলাকাবাসীর চাহিদার বিবেচনা করে কোথাও এই রকম হাটের প্রয়োজন হলে তা যাচাই- বাচাই করে দেখা হবে, পাশাপাশি সড়কের পাশেও কোন হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মেজবাহ উদ্দিন আরো বলেন, “অবৈধ পশুর হাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মোবাইল কোর্ট দায়িত্ব পালন করবে, অবৈধ হাট ছাড়াও পশুর বাজারে নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মোবাইল কোর্ট”
মোবাইল কোর্ট ছাড়াও পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাটগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেটেরেনারী সার্জন এবং পশুসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
এদিকে, এই সভায় চট্টগ্রামের জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেছেন, মুসলমান নামধারী কিছু ব্যক্তি ঈদের নামাজে বোমা হামলা করে ইসলাম ধর্মকে কলংকিত করছে, তাদের যে কোন তৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থােকতে হবে।
এই জন্য আতংক ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জনান।