উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গ্রামে বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে মিয়ানমারের । রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে জান্তাবিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করে দেশটি ক্রমবর্ধমান ভয়ানক লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তামু জেলার খাম্পাত টাউনশিপের একটি গ্রামে বিমান হামলা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো শিশুসহ ১৫ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুরুষ এবং একজন নারী প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা আরো বেশি। ওই ব্যক্তি হামলার সময় জান্তার যুদ্ধবিমান দেখার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আটটি শিশুসহ ১৯ জন নিহত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেছেন, প্রথম বোমাটি গ্রামের দুটি গির্জাকে লক্ষ্য করেছে এবং লোকজন ভবন থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় হামলাটি হয়।
অধিকাংশই গির্জার এলাকার বাইরে নিহত হয়েছে। কারণ তারা পালানোর জন্য দৌড়াচ্ছিল। হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। যুদ্ধবিমান থেকে মোট ছয়টি বোমা ফেলা হয়েছে জানিয়ে ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেছে, ‘তারা দুটি গির্জাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল।
কিন্তু দুটি গির্জার বাইরে বোমা আঘাত হানে এবং কয়েকটি বাড়িতে আঘাত করে।’ কমিউনিটির স্কুলের কাছে আরেকটি বোমা অবতরণ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পরে বলেছে, হামলার প্রতিবেদনগুলো ‘ভুয়া খবর’। এমআরটিভি বলেছে, সেই সময় ওই এলাকায় কোনো বিমান ছিল না।
এএফপি বলেছে, গ্রামটি পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) গ্রæপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উঠে আসা অনেকের মধ্যে একটি।
সামরিক বাহিনী দলগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।