গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ১৩ আনোয়ারা–কর্ণফুলী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নৌকা প্রতীকের সমর্থনে এক নির্বাচনী জনসভা ।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী আনোয়ারায় কোনো মন্ত্রী ছিল না। মহান আল্লাহর রহমতে আমি দুই দুই বার মন্ত্রী হয়েছি। আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই আমার ক্ষমতা আর মন্ত্রীর নাম বিক্রি করে কখনো এক টাকার দুর্নীতিও করি নাই। আমি ব্যবসা–বাণিজ্য করেছি, কোনো চুরি করিনি। জনগণের এক টাকার হকও খাইনি। আমার পিতা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ ও শীর্ষ ব্যবসায়ী ছিলেন। আমি বাবার হাত ধরে রাজনীতি ও ব্যবসা দুইটাই শিখেছি। বাবার অর্বতমানে আমিও বাবার মতো রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করি। রাজনীতির মাধ্যমে দেশে ও জনগণের সেবা করতে এসেছি, আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করি। জনগণের সেবার জন্য আমি দায়িত্ব নিয়েছি। কারো কোনো ক্ষতি করিনি। আওয়ামী লীগ ইনশাআল্লাহ আবার ক্ষমতায় যাবে ।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আল্লাহর রহমতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা উপহার দিয়েছেন। এ নৌকার সম্মান রাখার জন্য আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে এসেছি। জুঁইদণ্ডীবাসীর প্রতি অনুরোধ আগামী ৭ জানুয়ারি সবার আগে কেন্দ্রে এসে আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন। বিগত ১১ বছরে আমি জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নে অনেক উন্নয়ন করেছি। কিন্তু আমার দুঃখ হল এ ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা সব সময় মারামারিতে লিপ্ত থাকে। কেন আমি জানি না। আনোয়ারায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তার মধ্যে বড় মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল হয়েছে। টানেলের কারণে আনোয়ারা একদিন দুবাই শহর হবে।
তিনি তরুণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যারা প্রথম ভোটার হয়েছেন সবার আগে ভোট দিবেন এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। নৌকা মার্কা স্বাধীতার প্রতীক। এক সময় নৌকার বিরুদ্ধে নানা রকমের অপপ্রচার হত, নৌকায় ভোট দিলে ধর্ম কর্ম চলে যাবে। এসব অপপ্রচারের দিন শেষ। এখন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদ।
জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বাহাউদ্দীন খালেক শাহজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ–সভাপতি এস এম আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, জুঁইদন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস, মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।