বৃহস্পতিবার(১ সেপ্টেম্বর) সকালে নগর ভবনে মেয়রের সাথে তাঁর দপ্তরে ও চেম্বার সভাপতির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন ভারতীয় এই কুটনীতিক। এ সময় দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. আদার্শ সোয়াইকা সিটি মেয়র আ জ ম নাছির ও চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলমের সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
সাক্ষাতকালে সিটি মেয়র ভারতকে বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ১৯৭১ সনে ভারত বাংলাদেশের পাশে থেকে স্বাধীনতার জন্য যে অবদান রেখেছে বাংলাদেশ তা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
মেয়র বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের সেনাবাহিনীর বহু সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছে, যা ইতিহাসে বিরল ঘটনা।বাংলাদেশে অনেক খাতে ভারত পুঁজি বিনিয়োগ করছে এবং বাংলাদেশের পণ্য ভারতে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
তিনি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন স্থায়ী সীমান্ত বিরোধ মিমাংসা হওয়ায় সুপ্রতিবেশী ভারতের বন্ধু সুলভ আচরনকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, “অতি সম্প্রতি জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ মাথা ছাড়া দিয়ে উঠায় উভয় দেশের জন্য শংকার কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। যে কোন জঙ্গী এক দেশে থেকে আরেক দেশে যাতে পালিয়ে আত্মগোপন করে যাতে থাকতে না পারে সে বিষয়ে উভয় দেশকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।”
এদিকে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ১৪-১৫% প্রবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের সামর্থের চিত্র তুলে ধরেন এবং বে-টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে এ বন্দরের যে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে তা বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের কাছাকাছি এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিকটবর্তী মিরসরাইয়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সম্বলিত বাস্তবায়নাধীন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন তিনি।
ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদার্শ সোয়াইকা বলেন,কোস্টাল ট্রান্সপোর্ট প্রটোকলের আওতায় অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প ব্যয়ে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
তিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট’র মধ্যে বাস্তবায়নাধীন হারমোনাইজেশন কর্মসূচী সম্পন্ন হলে উভয় দেশের পণ্য রপ্তানী অনেক সহজতর হবে বলে মনে করেন।
সাক্ষাতকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম চেম্বারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার উপস্থিত ছিলেন।