সুবর্ণসাড়া গ্রামবাসী মঙ্গলবার দুপুরে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের । এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শব্দের উৎস ওই গ্রামের সরকারবাড়িতে।
এ বাড়ির বাসিন্দা মোতালেব হোসেন সরকার সাবেক শ্রমিক লীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। উৎসুক জনতা সেখানে জড়ো হলেও বাড়িটিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় রহস্য দেখা দেয়।
এদিন দুপুর দেড়টা থেকে পৌনে ২টার মধ্যে শব্দ পান বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা শুনেছেন, ঘটনার পরপরই কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে দু’জন পুরুষকে আহত অবস্থায় সরিয়ে নেওয়া হয়। তাদের ধারণা, বোমা বা ককটেলজাতীয় কিছু তৈরির সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সুবর্ণসাড়া গ্রামে তদন্ত করেছেন। তবে কোনো কূলকিনারা পাননি তারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা বেলকুচি থানার এসআই শিমুল মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শ্রমিক লীগ কর্মী মোতালেব বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নৌকার সমর্থক। প্রচারে ছুটে বেড়াচ্ছি। মঙ্গলবার দুপুরে রান্নার সময় বাড়িতে ব্যবহৃত প্রেশার কুকারটি হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়।’ তাঁর দাবি, এ ঘটনাকে রং চড়িয়ে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আওয়াজ শুনেছেন বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাও। তিনি বলেন, শব্দ শুনে মনে হয়েছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। বুধবার সারাদিন নানা গুঞ্জন শুনেছেন। কেউ বলছেন, রক্তাক্ত দুইজন পুরুষকে কালো মাইক্রোবাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ওই বাড়িতে গেলে মোতালেবের স্ত্রী-স্বজনরা তাদের জানান, রান্নার সময় প্রেশার কুকার বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে কোনো আলামত দেখাতে পারেননি। বোমা জাতীয় বস্তু বিস্ফোরণের আলামত মেলেনি। যে কালো মাইক্রোবাসের কথা বলা হচ্ছে, সেটি এক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি। সেটিতে তল্লাশি করেও আলামত পাননি।
সিরাজগঞ্জের এএসপি (বেলকুচি সার্কেল) জন রানা অবশ্য বিষয়টিকে উড়িয়ে দেন। তাঁর দাবি, নির্বাচনের আগে এসব গুজব ছাড়া কিছু নয়।