যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম এবং এই আয় সব থেকে বেশি আসে । এর পরেই বাংলাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে সৌদি আরব থেকে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ও নোমাডের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে বাংলাদেশে। এরপর আসে সৌদি আরব থেকে। এ ছাড়া গালফ কো অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) বেশ কয়েকটি দেশ যেমন কুয়েত, বাহারাইন, কাতার, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাকসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রবাসী আয় আসছে। খবর বাংলানিউজের।
৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে বৈধ চ্যানেলে বাংলাদেশের মোট প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংক ও নোমাডের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ–৩৯ বলছে, প্রবাসী আয়ে শীর্ষ দেশ হিসেবে থাকবে ভারত। চলতি বছর দেশটির প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২৫ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে মেঙিকো। দেশটি মোট ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় পেতে পারে। তৃতীয় স্থানে থাকবে চীন, এশিয়ার বৃহত্তর এই দেশটির প্রবাসী আয় থাকবে ৫ হাজার কোটি ডলার।
এই তালিকায় চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকবে যথাক্রমে ফিলিপাইনস, মিশর ও পাকিস্তান। ফিলিপাইনস পাবে ৪ হাজার কোটি ডলার, মিশর ও পাকিস্তান পাবে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। সপ্তম স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। যথাক্রমে ২ হাজার ১০০ কোটি, ২ হাজার কোটি ও ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় নিয়ে অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে থাকবে নাইজেরিয়া, গুয়েতেমালা ও উজবেকিস্তান। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস, ২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়প্রাপ্তিতে নেতিবাচক ধারা থাকলেও এ বছরে প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের শ্রমবাজারের চাঙা ভাব, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি কমার কারণে প্রবাসী আয়প্রবাহ বাড়বে বছর শেষে। তবে সৌদি আরব ও কুয়েতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে রীতিমতো ধস নামার কারণে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ভালো হলেও তেলের দাম কমে যাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসীদের নতুন কর্মসংস্থান খুব বেশি হবে না। সে কারণে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হবে না। ২০২৪ সালেও বাংলাদেশে প্রবাসী আয় ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, অর্থাৎ সমানই থাকবে। বৈশ্বিক সংস্থাটির মতে, শ্রীলঙ্কার প্রবাসী আয়ে দুই বছর বড় পতন হলেও চলতি বছর ও ২০২৪ সালে তা বাড়বে।