শার্শায় মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন হলুদের সমারোহ যশোরের । সরিষা ফুলের হলুদ চাদরের আবরণে ছেয়ে আছে বিস্তীর্ণ এলাকা। হলুদের মৌ মৌ গন্ধ ও মৌমাছিদের আনাগোনা, সেই সাথে গুন গুন শব্দে মুখরিত চারিদিক।
হলুদের উপর আছড়ে পড়া মৃদু বাতাস মাঝে মাঝে দোল দিচ্ছে আর গন্ধ ছড়াচ্ছে। এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রকৃতির কাছে টানছে প্রকৃতি প্রেমিদের।
শার্শা উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এই উপজেলায় ৬ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আাবাদ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ১৫৬ হেক্টর।
কৃষি বিভাগ থেকে লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ১০০ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চলতি বছরে আরো ৫৬ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।
এর মধ্যে বারি সরিষা-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ বিনা সরিষা- ৯, পাঞ্জাবজটা ও বুলেট সরিষা রয়েছে।
উপজেলার পানতাপাড়া এলাকার সরিষা চাষি আব্দুল লতিফ বলেন, গেল বছর এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করি ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় এবছর ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করছি।
শাড়াতলা গ্রামের সরিষা চাষি কাদের মিয়া বলেন, বরাবরই আমি মৌসুমে সরিষা চাষ করি। প্রতিবার ভাল ফলন ও ভাল দাম পেয়ে অনেক লাভবান আমি।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, কৃষি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে শার্শা উপজেলার মাটি খুবই উপযোগী। এই উপজেলায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি প্রতিবছর সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমতি সরিষার আবাদ হচ্ছে। আমার কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশা করছি আগামীতে ভোয্যতেলের বড় একটি চাহিদা এ উপজেলা থেকে মিটবে।