সন্ত্রাস ও নাশকতা করে ট্রেনে যাত্রী চলাচল বিঘ্নি করার অপচেষ্টা চলছে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, এ সময়টাতে রেল সম্পর্কিত সহিংসতা বাড়ছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রেলভবনের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলে নাশকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেল চলাচলে হুমকি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা চাই। রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে রেলকে সম্পৃক্ত করে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণে ফেলে জনজীবন যে হুমকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো প্রতিটি ফৌজদারি অপরাধ। আমাদের দিক থেকে আমরা নিরাপদ রেল যাত্রার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, যাত্রীবেশে উঠে ট্রেনে নাশকতা করেছে দুর্বৃত্তরা। এমন নাশকতা প্রতিহত করা কঠিন। নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে তারাই ট্রেনের নাশকতার সঙ্গে জড়িত। দুর্বৃত্তরা রেলকে আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার বানিয়েছে। যে হুমকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো প্রতিটি ফৌজদারি অপরাধ।
রেলে দুর্ঘটনা কমাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেলের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলপথের ব্যাপারে সহযোগিতা করে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, বৈঠক হয়েছে, সন্ত্রাসীরা যাতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।
রেলপথের বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, রেলপথে সরাসরি আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটে গত ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ২টি কোচে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে যমুনা এক্সপ্রেসে পরিকল্পিত নাশকতা করা হয়েছে। এ দুই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী।