চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের একটি আদালতচট্টগ্রামে ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে আটক হওয়া বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের (বিটিসিএল) বিভাগীয় প্রকৌশলীসহ তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
আজ তাদের আদালতে নেওয়া হলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরী তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
আটক হওয়া তিনজন হলেন, বিটিসিএলের বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রদীপ দাশ, সংস্থার প্রধান সহকারী গিয়াস উদ্দিন ও টেলিফোন অপারেটর হুমায়ুন কবির।
দুদকের কৌসুলি ও বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, আদালত আজ শুনানি শেষে ঘুষ গ্রহণের মামলায় দুইদিন এবং অবৈধ অর্থ উদ্ধারের মামলায় একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া আদালত তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, কোতয়ালি থানায় দায়ের হওয়া ঘুষ গ্রহণের মামলায় গিয়াস ও হুমায়ুনকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় দুদকের উপ-পরিচালক-১ মোঃ মোশাররফ হোসেন মৃধা।
আর অবৈধ অর্থ উদ্ধারের মামলায় প্রদীপ দাশ, গিয়াস ও হুমায়নকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট বিটিসিএল’র নন্দনকানন কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। এতে নেতৃত্ব দেন দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া।
বিটিসিএল’র অবসরপ্রাপ্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম ভুঁইয়ার কাছ থেকে ঘুষের ২০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় সংস্থার প্রধান সহকারী গিয়াস উদ্দিন ও টেলিফোন অপারেটর হুমায়ুন কবিরকে হাতেনাতে আটক করে দুদক।
এসময় গিয়াস উদ্দিনের অফিস কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে তার ও তার স্ত্রীর নামে করা ৮৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও নগদ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এরপর বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রদীপ দাশের অফিস কক্ষে তল্লাশি চালানো হলে একটি স্টিল কেবিনেটের ড্রয়ারে আরও ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। ড্রয়ারে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার ও ২ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কেনা দুটি জমির দলিলও পাওয়া যায়। ওই জমি গিয়াস উদ্দিন ও হুমায়ুন কবিরের নামে কেনা হয়। এরপর প্রদীপ দাশকেও আটক করা হয়।
এই ঘটনায় ঐ দিনই নগরীর কোতয়ালি থানায় দুদক দুটি মামলা দায়ের করে।