স্বতন্ত্র প্রাথী মো. কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালামের আজাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন কুমিল্লায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা নিবাচনী একটি সভায়, ‘‘বাঘের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা আছে কিন্তু রাজী ফখরুলের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা কারও নেই’’ রাজী ফখরুল তো পরের কথা আগে আমাদের থাবা থেকে বাঁচ ! আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম, আরে কম্পিটিশন তো দূরের কথা জামানত থাকত না’’ আমার আর আবু কালামের এক সেন্টার, আমি ওপেন আয় তোর ক্ষমতা থাকলে’ তোর ইউনিয়নে পারলে আমার সামনে দাঁড়া । গত মঙ্গলবার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভায় এ বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার। বক্তবের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে তোলপাড় শুরু হয়।
বক্তব্যে লিটন সরকার আরও বলেন, আমি আজকে বলতে চাই, তুই কত বড় সেনা হইছত কত বড় গুন্ডা হইছত!। এই আবু কালাম তুই কবে ছাত্রলীগ করছত, কবে যুবলীগ করছত, কবে আওয়ামী লীগ করছত? নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করতাছত। তুই এটা বুজছ না কোনটা ডামি প্রার্থী কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী আর কোনটা বিদ্রোহী প্রার্থী, তুই তো বিদ্রোহী প্রার্থী মুর্খের মত মূর্খ ব্যাখ্যা দিস। আমি তার বাড়িতে গিয়া তরে ধরমু। মুখ খারাপ করে লাভ নাই। তোর রাজী মুন্সীর আন্ডাটা আলগি দেওয়ার ক্ষমতা আছেনি। এটা সিম্পল বিষয়। রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের পৈত্রিক যা সম্পত্তি আছে এটার কোটাডা কেনার মত তোর ক্ষমতা নাই , তুই তো ছাগলের আট নম্বর বাচ্চা।
এ বিষয়ে লিটন সরকার বলেন —– স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাঁর এ বক্তব্যের পরপর আমার একজন মেম্বারকে বেদড়ক পিঠিয়েছে লিটন সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী। এছাড়াও গতকাল রাতে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য বিল্লাল ও হুমায়ুনের নেতৃত্বে রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সিফাতকে রাস্তায় একা পেয়ে কুপিয়েছে সে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহনযোগ্য ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস প্রশাসন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। এছাড়া জনগণ ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে।