নির্বাচন কমিশন (ইসি) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম পর্যায়ে দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে । এরমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের রয়েছেন
তাদের মধ্যে রাঙ্গামাটি সদরের ইউএনও নাজমা বিনতে আমিনকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে, বান্দরবানের লামার ইউএনও মোস্তফা জাবেদ কায়সারকে রাঙ্গামাটি সদরে, রাঙ্গামাটির রাজস্থলীর ইউএনও শান্তনু কুমার দাশকে বান্দরবানের লামায়, খাগড়াছড়ির পানছড়ির ইউএনও রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এবং কক্সবাজারের পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমাকে চাঁদপুরের হাইমচরে বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ইউএনও এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ইউএনও অনজন দাশকে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে এবং চাঁদপুরের হাইমচরের ইউএনও চাই থোয়াইহলা চৌধুরীকে কঙবাজারের পেকুয়ায় বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগের আটজনসহ সারাদেশের ৪৭ জন ইউএনওকে বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন। সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেন নির্বাচন প্রশাসন শাখার উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. মিজানুর রহমান। এর আগে গত ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামসহ দেশের আট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় উক্ত ৪৭ জন ইউএনওর বদলির বিষয়ে প্রস্তাব করে।
সূত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ৬৪ জেলা প্রশাসক ও ঢাকা–চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন। এরই মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, আইজিপি, জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে প্রশাসন ও পুলিশের বদলির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরই অংশ হিসেবে বর্তমান কর্মস্থলে এক বছরের বেশি সময় ধরে থাকা ইউএনও এবং ছয় মাসের বেশি সময় ধরে থাকা ওসিদের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর জন্যে বলেছে। ওসিদের তালিকা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলা হলেও আরও তিন দিন সময় বাড়িয়ে ৮ ডিসেম্বর করা হয়েছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ২৭০ জন ইউএনও এক বছরের বেশি এবং ৩২০ জন ওসি ছয় মাসের বেশি বর্তমান কর্মস্থলে থাকতে পারেন বলে তারা মনে করছেন। এখন ৪৭ জন ইউএনর তালিকা এসেছে। কমিশন তাদের বদলির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। এ কর্মকর্তা জানান, চার নির্বাচন কমিশনার বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যে তথ্য পেয়েছেন, সেটির ভিত্তিতেই থানার ওসি ও ইউএনওদের বদলি চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সব মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, যে কোনো কর্মকর্তা দায়িত্বে অবহেলা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ করলেই প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু দৃষ্টিগোচর হয় নাই। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি ঘটালে প্রমাণ সাপেক্ষে তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবার অঙ্গীকারও করেন তিনি।