প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অগ্নি নাশকতার ঘটনা ঘটেছেদফায় দফায় বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধের মধ্যে।
তথ্য বলছে, ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর থেকে এক মাসে বাস-ট্রাক-ট্রেনসহ ২১৭টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে কেবল বাসের সংখ্যাই ১৩৫টি।
সেই সঙ্গে আগুন দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক কার্যালয় ও সরকারি অফিসসহ ১১টি স্থাপনায়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বুধবার বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল ৬টার মধ্যে মোট এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের দাবি এবং পরে তফসিল বাতিলের প্রতিবাদে বিএনপি, তাদের মিত্র দল জামায়াতে ইসলামী এবং সমমনা দলগুলো আন্দোলনে রয়েছে।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে বিএনপির ডাকে অষ্টম দফায় ২৪ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে, পরদিন বৃহস্পতিবার হরতালের ডাকও দিয়ে রেখেছে দলটি। এর আগে সাত দফায় ১৫ দিন অবরোধ এবং দুই দফায় ৩ দিন হরতাল করেছে বিএনপি-জামায়াত। এই সময়ে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অগ্নি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে।
গত এক মাসের হিসাব তুলে ধরে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শিকদার বলেন, পুড়িয়ে দেওয়া যানবাহনের মধ্যে ১৩৫টি বাস, ৩৭টি ট্রাক, ১৬টি কভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল এবং ২টি প্রাইভেট কার রয়েছে। এছাড়া ৩টি মাইক্রোবাস এবং একটি করে পিকআপ, অটোরিকশা ও লেগুনায় আগুন দেওয়া হয়েছে।
এসব যানবাহন ছাড়াও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়ার খবর এসেছে ফায়ার সার্ভিসের কাছে। তিনটি ট্রেনেও আগুন দেওয়া হয়েছে এই সময়ে।
যে ১১টি স্থাপনায় আগুন দেওয়ার খবর এসেছে, সেগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ অফিস, বিএনপি অফিস, কাউন্সিলর অফিস ছাড়াও পুলিশ বক্স, বিদ্যুৎ অফিস, বাস কাউন্টার ও শোরুম রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বিএনপির অষ্টম দফার অবরোধ শুরুর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৩টায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ হাটিকামরুল এলাকায় একটি ট্রাকে এবং ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার শ্যামপুরের ধোলাইরপাড়ে তুরাগ পরিবহনের বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা
এছাড়া ভোর সোয়া ৬টায় গাজীপুরের সালনায় মিনহাজ পরিবহনের একটি বাসেও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।